ছোটবেলায় শিশুকে নির্যাতনের ফল এখন বৃদ্ধ মা ভোগ করছে।

কাদের মেডিকেলে পড়া উচিত

যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে শতভাগ যোগ্য তাদেরই মেডিকেলে পড়া উচিত। কারণ  অনেক মেডিকেল  ছাত্ররা বলে পড়ার চাপ সহ্য করতে না পেরে কোন কোন ছাত্র বা ছাত্রী মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্হ হয়ে পড়ে। অনেকের হয়তো কোন না  কোন শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। পড়ার চাপে সেই সমস্যা আরো বেড়ে যায়।অন্তত মেডিকেল  বিশেষজ্ঞরা তা ভালো করেই জানেন, মানসিক চাপ শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর।  বড় বড় অধ্যায়ের উপর প্রতিদিন পরীক্ষা হচ্ছে। একদিন পড়িয়ে এর পরের দিন ঐ বড় অধ্যায়ের উপর পরীক্ষা হয়।ডাক্তাররা তো ভালো করেই জানেন ব্রেইনের বিশ্রাম প্রয়োজন। বিশ্রাম ছাড়া ব্রেইন কি শক্তি ফিরে পায়? কি হবে মেডিকেল ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক  স্বাস্হ্যের ভবিষ্যৎ?

স্কুল এখন বিনোদন কেন্দ্র

কোচিং হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র

পড়াশুনা যদি ক্লাসনির্ভর হয় তাহলে ছাত্ররা নিজেরাই কোচিং করা বন্ধ করে দিবে।আগের দিনে কি  পড়াশুনা করে ছাত্ররা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় নি? হয়েছে। এরা পড়াশুনা বুঝার জন্য  স্কুলের ক্লাসের আশায় বসে থাকতো। আর কোচিং  পরোক্ষভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। এই কোচিং এর জন্য ছাত্রদের কোন ছুটির দিন নেই। কারণ ছুটির দিনে ও সকাল বিকাল তাদের কোচিং থাকে। তাদের পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়ারও সুযোগ নেই।ছাত্রদের স্বাস্থ্যের কথা কেউ ভাবে না।

যাই হউক পড়াশুনাকে ক্লাসনির্ভর করার জন্য যে কোন একটি ক্লাসের উদাহরণ দেই কেমন হবে ক্লাস রুটিনটা। নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা কিন্তু রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, সাধারণ গণিত  - এই সমস্ত বিষয়ের উপর কোচিং করে।

যেমন গণিতের  ক্লাসের সময়টা দেড়ঘন্টা করে সপ্তাহে তিনদিন, আর অন্যান্য বিজ্ঞান বিষয়ের সময় এক ঘন্টা করে সপ্তাহে দুইদিন আর বাকি  বিষয়গুলো চল্লিশ মিনিট করে সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন রাখলে মনে হয় ক্লাসরুটিন ঠিক থাকে। শুধু ক্লাসরুটিন ঠিক করলে তো হবে না, স্যারদের বেতন না বাড়ালে তো স্যাররা ক্লাসে মনোযোগী হবে না। 

কোচিং এর আরো একটি ক্ষতিকারক দিক হচ্ছে কোচিং এ পড়াশুনা করার ফলে ছাত্ররা ক্লাসে স্যারদের কথা না শুনে হৈ চৈ করে সময় কাটিয়ে দেয়।  তাহলে শুধু শুধু স্কুলে আসা। এর মানে স্কুল হয়েছে এখন বিনোদন কেন্দ্র আর কোচিং হয়েছে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র। 

শিশু হবে মনের মতন

যদি করেন তাদের যতন

শিশুদেরকে হ্যা বলুন

এর পরিবর্তে শ্লোগানটি হউক

শিশুকে রাখুন হাসিখুশি

করোনা টিকা দেওয়ার মতই জরুরী

শিশুকে  হাসিখুশি রাখা 

কোন সুন্দর সুন্দর  উপদেশ বাণী দিয়ে শিশুদের জীবন সুন্দর করা যাবে না।শিশুদের জীবন সুন্দর করার জন্য শিশুদের অভিভাবকদের ধরে ধরে করোনা টিকার মতই জরুরী টিকা দিতে হবে  । আর এই জরুরী টিকার নাম হচ্ছে শিশুদেরকে  

 হাসিখুশি রাখার টিকা।এই টিকা দিতে হবে শিশু যাতে অমানুষের মত বড় হয়ে বাবা  মায়ের অবাধ্য না হয়।অবাধ্য সন্তান নিজের জীবন, পারিবারিক জীবন ও সামাজিক জীবনের বোঝা।

শিশুকে হাসিখুশি না রাখার কুফল কিন্তু বাবা মাকেই ভোগ করতে হয়।অথচ অনেক বাবা মা তা বোঝে না।ছোট বলে তাদের চাওয়া পাওয়াকে অবহেলা করে। তাদেরকে শাসন আর ধমক দিয়েই বড় করে। অথচ এই শাসন,ধমক আর অবহেলাই শিশুর মনে ক্ষোভের জন্ম নেয়।এই ক্ষোভ থেকেই তারা হয়ে যায় বাবা মায়ের অবাধ্য।অবাধ্য হয়ে নিজের ইচ্ছেমতো চলে তারা নিজেদের জীবন নষ্ট করে দেয়।তখন বাবা মা এর কোন ক্ষমতা থাকে না। কারণ ছোটবেলায় তারা শিশুদের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। 

সুতরাং মন খারাপকে গুরত্ব দিতে হবে। শিশুদের মন খারাপের কারণ বের করে দ্রুত তা সমাধান করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে।শিশুদের হাসিখুশি রাখতে পারলেই শিশুরা বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবে। 

নতুন মায়েদের জন্য সতর্কবাণী

নতুন মা মানে যারা প্রথম নবজাত শিশুর জন্ম দিয়েছে বা যাদের বাচ্চার বয়স ছয়মাস একবছর বা দুই বছর। অনেক নতুন মা আছে যারা বাচ্চা সঠিকভাবে লালন পালন করতে পারে না হউক তারা উচ্চশিক্ষিত বা অশিক্ষিত।এই সময়টাতে অনেক মায়েরা বুঝতে পারে না বাচ্চাকে কি খাওয়াতে হবে এবং কিভাবে খাওয়াতে হবে।উদাহরণসরূপ বলা যাক অনেক সময় মায়েরা বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার বলে সব্জি খিচুড়ি খাওয়ান। কিন্ত ডাক্তার বলে দেন না কোন  সব্জি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে ভালো।ফলে উলটাপালটা সব্জি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে আর খিচুড়িতে থেকে যায় আশঁ।ফলে বাচ্চা সেই খিচুড়ি খেতে পারে না। এই গেলো খিচুড়ি খাওয়ানোর ব্যর্থতা।আবার ফল খাওয়াতে গেলে ও মায়েরা একই সমস্যায় ভুগেন। ফলের রস কি পানি মিশিয়ে রাখতে হবে? কোন  ফলের রস পানি মিশিয়ে খাওয়াতে হবে? বাচ্চাদের খাওয়া আর অসুস্থতা নিয়ে নতুন মায়েরা রীতিমতো দিশেহারা থাকেন।

এক নতুন মা তো বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিণ্য সমস্যা নিয়ে  দুই বছর চরম দুশ্চিন্তায় ভুগেছেন।এই মা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী করেন কমলার রসকে। কমলার রস খাওয়ানোর পর থেকেই বাচ্চা এই সমস্যায় ভুগেছে।ডাক্তার বলে কমলার রসটা পানি না মিশিয়ে খাওয়ানোর ফলেই বাচ্চার এই সমস্যা হয়েছে।এছাড়া বাচ্চা অন্য খাবার না খওয়ার ফলে খালি কমলার রসটা তাকে ক্ষতি করেছে।যাই হউক বাচ্চার এই সমস্যাটা এতোই চরমে গিয়েছে যে এক সার্জন ডাক্তার অপারেশনের কথা বলেছে।  এই ডাক্তার এমনও ভয় দেখিয়েছে যে সাতদিনের মধ্যে অপারেশন না করলে ক্ষতি হয়ে যাবে।তারপর আর কি নতুন মা তো অপারেশনের কথা শুনে বাচ্চাকে বিভিন্ন শিশু ডাক্তার দেখাতে থাকে। আর কোন ডাক্তার অপারেশনের কথা বলে নি। ওনারা বলেছে বাচ্চাকে খাওয়াতে থাকেন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।কিন্তু কোন ডাক্তার সঠিক করে বলতে পারে না কি খাওয়াতে  হবে। শেষ পর্যন্ত  এক অলীর( আল্লাহওয়ালা লোক) কাছে নিয়ে যায়। তিনি বলেন,  বাচ্চাকে মিষ্টি আলু ও মিষ্টি  কুমড়া খাওয়ান,বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবে।এরপর থেকেই বাচ্চার এই সমস্যা দূর হতে থাকে। যাই হউক  নতুন মায়েদের বলছি, শিশু যত্ন ও লালন পালনের উপর বই কিনুন তাহলে বই দেখে শিশুকে খাওয়াতে পারবেন। আর এখন তো নেটের যুগ। নেট থেকেই সবকিছু জানা যাবে।

মনের খবর

মানুষের মনের খবর জানার জন্যই এই পেজ তৈরি।

কিশোরের মন খারাপের কারণ 

উদ্ধার করুন

কিশোর ছেলেটি স্কুল থেকে দুপুরে বাসায় আসার পর তার মা খেয়াল করে দেখে ছেলেটির চেহারা মলিন হয়ে আছে। মা  ছেলেকে জিজ্ঞেস করে, তোমার মন এতো খারাপ কেন?মা বার বার বলছে,বলো তোমার মন কেন খারাপ। না বললে বুঝবো কিভাবে? কিভাবে তোমার সমস্যার সমাধান করবো? কিন্ত ছেলের উত্তর একটাই-না,  বলবো না।মা তো মহাদুশ্চিন্তায় আছে।কি হলো ছেলের?   দুপুর পেরিয়ে রাত হলো, রাত পেরিয়ে সকাল হলো।সকালে ছেলেটি যখন স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত  তখন মা ছেলেটিকে বলে, রাগের কারণ না বলে যদি  স্কুলে যাও আমি তো টেনশনে থাকবো।তারপর ছেলেটি মুখ খোলে।ছেলেটি বলে, বাবা আর তুমি দুজনে মিলে কেন ওর (পাশের বাসার সহপাঠি) সাথে স্কুল ও কোচিং এ আসা যাওয়া করতে বলো। ওকে আমার পছন্দ না। ওর কথাবার্তা ভালো না।আমি তো বলি, ওর সাথে চলতে ভালো লাগে না। তা ও তোমরা শুন না।  সহপাঠির বিরুদ্ধে  অভিযোগ  শুনে  মা সহপাঠির   উদ্দেশ্যে কথা বলা শুরু করেছে।

ওর (সহপাঠি) এত বড় সাহস! তোমাকে খোচা মেরে কথা বলে। সারা বছর ও তোমার চেয়ে অনেক পিছনে ছিল। এবার প্রথমবার তোমার সমান ভালো রেজাল্ট করেছে। তাই  ওর মাথা ঠিক নেই। তোমাকে খোচা মেরে কথা বলে ও শান্তি পায়। যাই হউক তুমি তো তোমার সমস্যাটা গুরুত্ব দিয়ে বলো নি আগে। তাই আমরা তোমাকে ওর সাথে যাওয়া আসা করতে বলেছি। থাক আমরা আর তোমাকে ওর সাথে যেতে বলবো না। তুমি নিজেই ওকে না করে দিও। তোমার খারাপ লাগে-- এমন কাজ তো আমরা তোমাকে করতে দিবো না। তারপর ছেলেটি হাসিমুখে স্কুলে যায়।

সচেতনভাবে বেচে থাকার জন্য

সামান্য সময় ধ্যান করুন

এই শরীর বিভিন্ন  অঙ্গ পত্যঙ্গ দিয়ে গঠিত। শরীরের ব্রেইন, কিডনী, লিভার, হার্ট সবই বেকার যদি ঐ অঙ্গটি না থাকে। সেটা হচ্ছে শ্বাস যেটা আমাদের ধরা ছোয়ার বাইরে।এই শ্বাসের  জন্যই আমরা জীবিত ও মৃত। অথচ এই শ্বাসের প্রতি আমাদের তেমন কোন নজর নেই। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের যতটুকু নজর দেয়া দরকার ততটুকুই দেই। অর্থাৎ শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের শ্বাসের ব্যায়াম  করে থাকি।ব্যায়াম দিয়ে তো আর শ্বাসের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ বুঝায় না। যে শ্বাসের জন্য আমরা জীবিত  সেই শ্বাসের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে জানাবো আর কেনই বা জানাবো।অন্তত মানবিকভাবে ও সচেতনভাবে বেচে থাকার জন্য প্রতিটি মানুষের  প্রতিদিন দশ পনেরো মিনিটের জন্য ধ্যান করা উচিত। ধ্যান  করা মানে কিছু সময়ের জন্য দুনিয়ার  চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকা।ধ্যান করার সময় কিছুই করার দরকার নেই।শুধু শ্বাস প্রশ্বাস কিভাবে চলে সেদিকে খেয়াল করুন আর বিধাতার নাম স্মরণ করুন।এভাবে যে যতক্ষণ থাকতে পারে ততই ভালো।

পাত্র পাত্রী নির্বাচনে  সন্তানের মনের খবর

আজকালের বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই তাদের নিজেদের পাত্র ও পাত্রী নিজেরাই ঠিক করেন। পাত্র পাত্রী নির্বাচনে  অনেক ছেলেমেয়ে তাদের পারিবারিক অবস্থানকে গুরুত্ব দেন না। তারা তাদের নিজ অবস্হানের চেয়ে ছোট অবস্থানের পাত্র পাত্রী পছন্দ করেন।প্রশ্ন হচ্ছে কেন তারা  এরকম পছন্দ করে? কেউ বলে, আমি আমার বাবা মায়ের অহংকার কমানোর জন্য এরকম পছন্দ করি। কেউ বলে আমার   বাবা মায়ের চালচলনে বুঝতেই পারি নি আমার বাবা মা আমার নির্বাচিত পাত্র বা পাত্রীর চেয়ে উচু অবস্থানের লোক। এখন বাবামা যে ছেলেমেয়েদেরকে নজর ছোট বলে  ছেলেমেয়েদের দোষ  দেয়  এটা ঠিক নয়। আসল দোষী তো বাবা মা।

বয়সন্ধিকাল একটি ভয়ংকর বয়স

বর্তমানে নেট প্রযুক্তির কারণে বয়সটা হয়ে গেছে  ভয়ংকর।সন্তানের সাথে অভিভাবকদের  একটা মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।সন্তানেরা তাদের মনের কথা শেয়ার করে তাদের নেট বন্ধুদের সাথে।নেটের কুফল সম্পর্কে অনেক পিতামাতাই সচেতন নন। এ কারণেএ বয়সে আত্মহত্যার মত ভয়ংকর ঘটনা ঘটছে।আত্মহত্যা না করলে ও অনেক ক্ষেত্রে সন্তানেরা মানসিক রোগের শিকার হচ্ছে।এর একমাত্র কারণ মোবাইল  প্রযুক্তির ব্যবহার।সন্তানেরা মুখে বলছে একটা অথচ তাদের অন্তরে আরেকটা। এই কারণে সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা উচিত। সন্তানের গোমড়া মুখ যেন একদিনের বেশি স্থায়ী না হয়।   দরকার হলে গোয়েন্দাগিরি করে তাদের মনের খবর উদ্ধার করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে।

  IELTS হউক  ইংরেজি

দ্বিতীয় পত্রের পাঠ্যসূচি

প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত  IELTS হউক ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পাঠ্যসূচি।ইংরেজি প্রথম পত্রের পাঠ্যসূচি হবে প্রশ্ন উত্তর, চিঠি, দরখাস্ত, ই-মেইল,গ্রামার। এই পাঠ্যসূচিতে রচনা, অনুচ্ছেদ থাকার প্রয়োজন নেই। এই মুখস্ত বিদ্যা পড়ে ইংরেজি বিন্দুমাত্র শিখা যায় না।শিখা যায় শুধুমাত্র গ্রামার যেটাকে কার্যক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় না।  যারা ইংরেজি শিখেছে নিজ চেষ্টায় অন্য উপায়ে শিখেছে। পাঠ্যবই পড়ে কেউ ইংরেজি শিখে নি।কতকাল আর এই অকার্যকর ইংরেজি পাঠ্যসূচি থাকবে। ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় বেশির ভাগ ছাত্র ইংরেজিতে ফেল করে। যাই হউক ইংরেজি দ্বিতীয়  পত্রের পাঠ্যসূচিতে থাকবে শুধুমাত্র speakingএবং listening।আর writing ও reading তো প্রথম পত্রেই থাকবে। অনেকে ঝামেলা মনে করতে পারে। ঝামেলার কিছুই নেই। শুধুমাত্র speaking test টা হবে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। একদিন speaking test হবে অন্যদিন listening test হবে। যতই ঝামেলা হউক যে সিস্টেমে ইংরেজি শিখা যায় সেই সিস্টেমই চালু করা দরকার।

In a statement Wednesday afternoon, George H.W. Bush urged mourning Americans to “cross the Bushes off your worry list“ following the death of his wife of more than seven decades.

নিজেকে বড় করে

সবাই কি কথা বলতে পারে?

মা অন্যজনের সাথে নিজেকে বড় করে কথা বলতে পারে না বলে প্রায়ই মেয়ে মায়ের সাথে রাগ করে।একদিন মেয়ের মাকে একজনে ফোনে বলে, আপনাকে ফোনে কেন পাওয়া যায় না?তখন মেয়ের মা বলে, ঘরের ফোন সব নষ্ট হয়ে গেছে।তখন এ কথা শুনে মেয়ে  তার মাকে বলে, তুমি নিজেকে আমাদেরকে অন্যের সামনে কত ছোট করবে। সব ফোন নষ্ট - একথা বলার কি দরকার ছিল।তুমি বলতে পারো,এখন থেকে এই নাম্বারে ফোন করবেন।

গ‍্যাস সিলিন্ডারের অগ্নিকাণ্ড 

প্রতিরোধের উপায় 

প্রচার হউক প্রতিদিন

গ‍্যাস সিলিন্ডার থেকে যত দূর্ঘটনা ঘটছে তার একমাত্র কারণ হচ্ছে দূর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জনসচেতনেতার অভাব। এই সচেতনেতা তৈরি করার দায়িত্ব হচ্ছে গণমাধ্যমের।যাই হউক গত বছর বিস্ফোরক অধিদপ্তর  ১৯ হাজার গ‍্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষা করে সেগুলোর মধ‍্যে আট হাজার সিলিন্ডার বাতিল করে।বিস্ফোরক অধিদপ্তরের  প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন রান্নার জন‍্য গ‍্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কোন ঝুকি নেই। কিন্তু তবুও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। তাই আমাদের গ‍্যাস সিলিন্ডারের অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের উপায় জানতে হবে। যেমনঃ

১.সবার আগে জানতে হবে গ‍্যাস সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ কিনা।সিলিন্ডারের গায়ে কালো রঙের মার্ক করা লেখাটি হলো মেয়াদ উত্তীর্ণ  তারিখ।এখানেA B C D সংকেত দিয়ে মাস আর সংকেতের পাশে দুটো সংখ‍্যা দিয়ে বোঝানো হয় বছর।

 A=জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি,মার্চ
B=এপ্রিল, মে,জুন
C=জুলাই,আগষ্ট, সেপ্টেম্বর
D=অক্টোবর,নভেম্বর,ডিসেম্বর
এখন C22 মানে22 সালের সেপ্টেম্বরে  সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ হবে।

গ‍্যাস সিলিন্ডারের লাইফ টাইম হচ্ছে দশ থেকে পনের বছর।এরপরে এগুলোকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে।

২• সিলিন্ডার রান্নাঘরের চুলার নিচে বদ্ধ অবস্থায় না রেখে  ছায়াযুক্ত খোলামেলা জায়গায় রাখতে হবে।সরাসরি সূর্যের নিচে রাখা যাবে না।

৩•সিলিন্ডারে গ‍্যাসের গন্ধ পাওয়ার সাথে  ম‍্যাচের কাঠি জ্বালানো, ইলেকট্রিক সুইচ, সিলিন্ডারের রেগুলেটর, কিংবা মোবাইল ফোন অফ অন করা যাবে না।

৪•সিলিন্ডারের ভালব্, গ‍্যাসের পাইপ বা ফিটিংস দূর্বল হলে তা বদলাতে হবে। এগুলো মেরামত করে ব‍্যবহার করা যাবে না।

৫• গ‍্যাস সিলিন্ডার কাত করে, ঝাকিয়ে ব‍্যবহার যাবে না।

৬•এছাড়া যে কোন জরুরী পরিস্থিতি  মোকাবেলা করার জন‍্য রান্নাঘরের মধ‍্যে নিরাপত্তামূলক যন্ত্রপাতি  যেমন গ‍্যাস ডিটেক্টর  এবংঅগ্নিনির্বাপক বা হাতের কাছে কম্বলের মত মোটা কাপড় রাখা যেতে পারে।

এটা কি চুরি করা ছিল নাকি মজা

বিখ‍্যাত লোকদের কেউ কেউ ছোটবেলার গল্প করতে গিয়ে বলে থাকেন, আমরা ছোটবেলায় অনেক দুষ্ট ছিলাম।কয়েকবন্ধু মিলে অন‍্যজনের গাছের ফল চূরি করে খেয়ে মজা পেয়েছি।অর্থাৎ চুরি করাটা তাদের দুষ্টুমীর অংশ ছিল।কিন্তু ৮ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ‍্যায় ন্ওগার মান্দা উপজলায় সামান‍্য আখ চুরির অভিযোগে পাচঁ  কিশোরকে গ‍্রাম‍্য আদালতে বিচারের নামে জনসমক্ষে চড় থাপ্পর ও কান ধরে ওঠবস করানো হয়।নওগা জজ কোর্টের আইনজীবী  মহসীন রেজা বলেন,গ্রাম‍্য আদালতে কিশোরদের বিচার করার আইন নেই। ইউপি চেয়ারম‍্যান ঘরে বসে স্থানীয় ব‍্যক্তিদের সহায়তায় কিশোরদের বুঝিয়ে এটার সমাধান দিতে পারতো। কিন্তু বিচারক ইউপি চেয়ারম‍্যান বলেন, সংশোধন করতে কিশোরদের বিচার করা হয়েছে। তারা যাতে ভয় পায়, এজন‍্য জরিমানাও করা হয়। এখানে অন‍্য কোন উদ্দেশ‍্য নেই।কিন্তু এই ধরণের বিচারের পরিণাম কি হতে পারে তা কেউ ভাবে না। এ ধরণের বিচারের ফলে দেখা যাবে অনেকে তাদেরকে চোর বলে সম্বোধন করে তাদের জীবন বিষিয়ে তুলছে। 

এই ধরণের অবমাননাকর  পরিস্থিতির হাত থেকে কিশোরদেরকে বাচানোর জন‍্য আবার গ্রাম‍্য আদালত বসিয়ে জনসমক্ষে  কিশোরদের সাথে সুন্দর ব‍্যবহার করে বুঝিয়ে দেয়া উচিত---এটি তাদের চুরি ছিল না,এটি ছিল মজা।তবে এ ধরণের মজা তারা আর ভবিষ‍্যতে করবে না।




মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ