সৃষ্টিকর্তার কাছে সব অভিযোগ নালিশ করার মধ্যে শান্তি ও সমাধান আছে।

যে ঘরে ভালোবাসা আছে সে ঘর কুড়েঘর হলেও সেখানে শান্তি আছে আর যে ঘরে ভালোবাসা নেই সে ঘর রাজপ্রাসাদ হলেও সে ঘরে শান্তি নেই।

সন্তানের সন্ত্রাসী হওয়ার পিছনে কারণ হচ্ছে সন্তানের সাথে বাবা মায়ের কোন না কোন খারাপ আচরণ অর্থাৎ যে কোন একটি খারাপ আচরণ।

পরিবারের সবার কাছে যে ভালো সেই প্রকৃত ভালো মানুষ। 

আমি ক্লাস করার দরকার মনে করছি নাএই মূহুর্তে।

তালাকের মত সামাজিক ব্যধি দূর করার উপায়

তালাক সমাজের একটি নিকৃষ্টতম নেতিবাচক ঘটনা।এই নেতিবাচক ঘটনাকে প্রতিরোধ করার জন্য এগিয়ে আসা উচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে।কারণ তার মাধ্যমেই তালাকের কার্যক্রম ঘটে।ওনি একপক্ষের কথা শুনে তালাকের নোটিশ তৈরি করে।যারা মানসম্মত পরিবারের ছেলে বা মেয়ে  তারা তালাকের নোটিশ  পেয়ে নিরবে তালাক মেনে নেয় যতই তাদের মনে কষ্ট হউক না কেন।তারা আইনি আশ্রয় নেয় না।বরং তারা বিপরিত পক্ষের মঙ্গল  কামনা করে।অথচ তারা চরমভাবে মানসিক কষ্ট পেয়ে মানসিকভাবে পঙ্গু  হয়ে যায়।এই সমস্ত মানসিক  পঙ্গুত্ব তৈরির জন্য দায়ী কে? অবশ্যই  চেয়ারম্যান সাহেব। এই কারণে যখনই কেউ যাবে চেয়ারম্যান এর কাছে তালাকের নোটিশ তৈরি করতে তখন যেন চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে ডাকে তালাকের নোটিশ পাঠানোর আগে।দুই পক্ষকে সামনাসামনি ডাকা ছাড়া যাতে কোন তালাকের নোটিশ তৈরি হতে না পারে - এই ব্যাপারে কঠোর আইন তৈরি করাউচিত।বেশির ভাগ তালাক কিন্তু ঘটে দুই পক্ষের প্রতি দুই পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি,রাগ, ক্রোধ, অভিমান থেকে।

নম্র স্বরে কথা বলুন

সন্তানকে মানুষের মত মানুষ বানাও

যে সমস্ত বাবামায়েরা জন্ম থেকেই শিশুদের সাথে ভালো আচরণ করে  সে সমস্ত শিশুরা ধনী বা গরীব যে পরিবারের হউক না কেন তারা মানুষ হতে বাধ্য। ছোটবেলা থেকে বাবামায়ের আদর পাওয়া শিশুরা জীবনে অনেক বড় হতে পারে।শুধুমাত্র ভালো ভালো খাবার আর পোষাক দেওয়ার নামই আদর নয়। এগুলোই যদি আদর হতো তাহলে গরীবের সন্তানেরা বড় হতে পারতো না। আদর হচ্ছে শিশুর সাথে বাবামায়ের নম্র স্বরে কথা বলা।কথায় কথায় ধমক দিয়ে ভালো ভালো খাবার খাওয়ানোর আদর নয়। 

সঠিক চিন্তাধারা  পারে শরীরকে ফিট রাখতে

আমাদেরকে বুঝতে হবে শরীর হচ্ছে সুপার কম্পিউটার।এই শরীরকে পরিচালনা করা আমাদের শিখতে হবে। সঠিক চিন্তাধারাই পারে শরীরকে পরিচালনা করতে। এখন প্রশ্ন  হচ্ছে সঠিক চিন্তাধারা কেমন হবে? যেমন আমাদের মনের সুখের উৎস যদি অন্যকে ভাবি তাহলে আমাদের মনটা সুখের জন্য পরনির্ভরশীল হয়ে গেল। এর মানে সুখের জন্য অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এর ফলে আমাদের মনটা কিন্তু শক্তিশালী হতে পারে না। আমরা সুখ খুজবো বিধাতার কাছ থেকে। এটাই চিরন্তন নিয়ম। আর এই চিরন্তন নিয়ম আমরা মানি না বলেই আমাদের মনে অশান্তি কাজ করে।আর এই অশান্তি যখন কাজ করে তখন আমরা খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এর ফলে মানুষ খায় আর মোটা হয়। এর মানে এলোমেলো চিন্তাধারা মানুষকে এলোমেলো জীবনযাপন করতে বাধ্য করে।সুতরাং সঠিক চিন্তাধারা  সর্বদাই আমাদের  খাওয়া  ও শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আমরা শ্বাসের ব্যায়াম করি শরীর ফিট রাখতে। 

একদিনে তিনটি পরীক্ষা!

কল্পনা করা যায় ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল  কলেজের মত বিখ্যাত স্কুলে একদিনে তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।যতোই হউক বিশ নম্বরের  পরীক্ষা।এর মানে বিশ নম্বর করে ষাট নম্বরের মোট তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তারপরেও বন্ধ ছাড়া। স্কুল কর্তৃপক্ষ কি বুঝে না অন্তত ব্রেইনের বিশ্রাম প্রয়োজন।বিশ্রাম ছাড়া ব্রেইন শক্তি ফিরে পায় না। এভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের পরীক্ষা নেয়। দিনের পর দিন  বিশ্রাম ছাড়া রাত জেগে পড়াশুনা করার ফলে অনেক ছাত্র স্বাস্হ্য সমস্যায় ভুগে।কেউ স্বাস্হ্যের কথা ভাবে না।  

তরুণদের হাসি বাচিয়ে রাখার আইন তৈরি করতে হবে

হাসিখুশি তরুণদের হাসি যদি বাচিয়ে রাখার আইন যদি এখনই তৈরি করা না হয় আরো কত তরুণদের আত্মহত্যা  দেখতে হবে কে জানে? অভিভাবকেরা বুঝতেই পারে না তাদের সন্তানটি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে।অভিভাবক হওয়ার ব্যর্থতা এর চেয়ে বড় কি হতে পারে?সন্তানের আত্মহত্যার পিছনে শুধুমাত্র কি অভিভাবক  দায়ী? আত্মহত্যার পিছনে সমাজ, প্রতিবেশীও দায়ী।কারণ আত্মহত্যার পি ছনে দায়ী মানসিক অশান্তি দায়ী। আর মানসিক অশান্তি  তৈরির জন্য  বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই  সামাজিক পরিবেশ, পারিবারিক পরিবেশ সমানভাবে দায়ী। কারণ কোন কারণে সন্তান যদি অতিরিক্ত  মানসিক চাপে ভুগে তখন অভিভাবক  অন্যদের সাথে তা খুলে বলতে পারে না অন্যরা তাদেরকেছোট মনে করবে এই ভয়ে অথবা অন্যদের প্রতি তারা কোন আস্হা করতে পারে না।

তাই হঠাৎ  কোন আত্মহত্যার ঘটনা থেকে তরুণদেরকে বাচানোর জন্য এমন আইন তৈরি করতে  হবে যাতে আত্মহত্যার জন্য নিকটতম প্রতিবেশি ও সংশ্লিষ্ট  প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধ  থাকে। এমনভাবেই দায়বদ্ধ থাকবে যাতে কোন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলে তাদেরকে জরিমানার ব্যবস্হা করা হয়।  সরকার এমন জরুরী আইন তৈরি করুক যাতে প্রতিবেশিরা নিজ দায়িত্বে  প্রতিবেশি তরুণদের খবর রাখে আর প্রতিবেশিরা সবাই পরস্পরকে বলবে, চলো সবাই মিলে তরুণদের কোন সমস্যা থাকলে আমরা তা দূর করি।

এই যে কয়দিন আগে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছে এক তরুণী সবার সামনে তরুণকে অপমান করার কারণে। এই ধরণের ঘটনা যদি তরুণটি যদি সবাইকে বলতে পারত আর সবাই যদি তাকে সহযোগীতা করতো তরুণটি কি আত্মহত্যা  করতো? কখনোই না।

জন্মদিনের উপহার হিসাবে গাছ দিন

 প্রকৃতিপ্রেম হচ্ছে সুন্দর মনের পরিচয়।  ছোটভাই বড়বোনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বড়বোনকে এই গাছটি উপহার দিয়েছে। বড়বোন তো গাছ পেয়ে খুব খুশি। বোন আগে থেকে জানতো না ভাই তার জন্য গাছ নিয়ে আসবে।দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় আসার পথে গাছ কিনে হাতে গাছ নিয়ে  ঘরে ঢুকে যখন ভাই বোনকে বলে, আপু,তোমার জন্য গাছ নিয়ে এসেছি।গাছ পেয়ে বোন খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলেছে, এত সুন্দর গাছ!গাছ পেয়ে আমি খুব খুশি।বারান্দায় এই গাছটি রাখলে বারান্দা অনেক সুন্দর দেখাবে।

গাছ দিয়ে বারান্দা সাজান

শহরকে সবুজে তৈরি করুন

দেখুন ছবিতে বারান্দাটি গাছ দিয়ে সাজানো।আর বারান্দার বাইরে ভবনগুলি কেমন মরুভূমির মতো দেখাচ্ছে। সরকারি ভবন ছাড়া গাছবিহীন বাকি ভবনগুলি মরুভূমির মতোই দেখায়।শহরকে সবুজ ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ শহরে পরিণত করার জন্য প্রতিটি ভবনের বারান্দা গাছ দিয়ে সাজানো উচিত।  এর ফলে মানুষের চোখ ও মন ভালো থাকবে।কারণ বারান্দার গাছ আমরা সরাসরি উপভোগ করতে পারি।  

রাস্তাবিহীন বহুতলা ভবন যেন মৃত্যুফাঁদ

এই লম্বা বহুতলা ভবনের  তিনদিক অন্য ভবন বা ঘরবাড়ি দ্বারা বেষ্টিত।এর মানে তিনদিকে  ভবন থেকে বের হওয়ার কোন রাস্তা নেই। শুধুমাত্র সামনের  প্রবেশদ্বারের দিকে রাস্তা।কেউ চায় না বিপদ আসুক।কিন্তু ভবনের পিছনদিকে বা তিনদিকের যে কোন একদিকে যদি আগুন লাগে ফায়ারম্যানের গাড়ি ঢুকার কোন উপায় নেই। এই সমস্ত ভবন দেখলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্হা হয়।  যে কোন বিপদ আসলে যাতে সে বিপদ মোকাবেলা করা যায় সেই চিন্তা করেই ভবন নির্মাণ করা উচিত।ভবনের সীমানার ভিতরে অন্তত হাটার মতো খালি জায়গা থাকা উচিত।মরনের ভয় তো সবার আছে।জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ভবন তৈরি করা উচিত।

 

পদ্মা সেতু নির্মাণের মত খেলার মাঠ নির্মাণ ও তো কম জরুরী নয়

পদ্মা সেতু নির্মাণে যেমন সারা বাংলাদেশের জনগণ খুশি হয়েছে তেমনি খেলার মাঠ নির্মাণে শহরের শিশুরা অনেক খুশি হবে। যে সমস্ত চাকুরীজীবীরা সরকারি বাসায় থাকে তাদের সন্তানের হয়তো খেলা করার জন্য বাসার সামনেই খেলার মাঠ আছে। কিন্তু শতকরা আশি ভাগ শিশুর কি হবে? এদের বিকেল হলেই সময় কাটানোর জন্য মোবাইল ব্যবহার ছাড়া আর কোন উপায় নেই। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্হ্য ঠিক রাখার জন্য খাওয়ার মতো জরুরী কাজের মতোই শিশুদের প্রতিদিন খেলা করা জরুরী। সপ্তাহে একদিন বাবা মা বাইরে ঘুরতে নিয়ে গেলে কি খেলার কাজ সম্পন্ন হবে? কখনোই না।এখনও সুযোগ আছে খেলার মাঠ বানানোর। যেখানে খালি জায়গা আছে সেখানে সরকার যদি ইচ্ছে করে খেলার মাঠ বানাতে পারে শিশুদের  সুস্হ জীবনযাপনের কথা চিন্তা করে। এর ফলে শুধু শিশুদের স্বাস্হ্যই ভালো থাকবে না পরিবেশের স্বাস্হ্য ও ভালো থাকবে। শহর ভূমিকম্পমুক্ত শহর হবে। 

চিতই পিঠা বানানো শিখতে বিশ বছর লাগলো কেন

 বিশ বছর ধরে চিতই পিঠা বানানো শিখতে এক শহুরে উচ্চশিক্ষিত বিবাহিত তরুণী মধ্যবয়সে পরিণত হলো।এর মানে তরুণী প্রতিবছর শীতকালে চিতই পিঠা তৈরির  চেষ্টা করে ব্যর্থ হতো।ব্যর্থতার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে তরুণী বলতো, এই জনমে বেঁচে থাকতে এই পিঠা বানানো যাবে না। এই তরুণী ছিলো পিঠাপ্রিয় মানুষ। পিঠা বানিয়ে নিজে খাওয়া ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের খাওয়ানো ছিলো তার শখ। কতজনের কতরকমের রেসিপি শিখেছে তাতে ও কোন কাজ হয় নি।  শীতকালে রাস্তার এক পাশে বসে যারা চিতই পিঠা বানাতো তাদেরকে দেখে তার খুব আফসোস হতো। শেষ পর্যন্ত   চিতই পিঠা বানাতে না পেরে পিঠা বানানোর লোহার পাত্র মনের দুঃখে ফেলে দিয়েছে। এদিকে পিঠা বানানোর ব্যর্থতার বয়স বিশ বছর পার হলো। তরুণী মধ্যবয়সে পরিণত হলো।একদিন তার মেয়ে তাকে চালের গুড়ির পেস্ট তৈরি করে দিতে বললো। তাদের ফ্রিজে সবসময় চালের গুড়ি থাকে অন্যান্য পিঠা তৈরির জন্য।তারপর মধ্যবয়সী মা  তার তরুণী মেয়েকে পেস্ট  দেয়ার জন্য চালের গুড়ির সাথে পানি মিশালো। কিন্তু পেস্ট হয় নি, হয়ে গেলো পাতলা পানি।  তারপর আবার অল্প চালের গুড়ি নিলো। এই গুড়িটাকে পাটায়  পিষে সামান্য পানি মিশানোর পর চালের গুড়ি পেস্ট হয়ে গেলো।তারপর তার মাথায় এই ধারণা আসলো যে অতি সহজেই পিষানো চালের গুড়ি  দিয়ে চিতই পিঠা বানানোর চেষ্টা করা যাক। আর চেষ্টা করা লাগে নি। অতি সহজেই পিষানো চালের গুড়ি দিয়ে পিঠা সুন্দর হচ্ছে। এখন প্রতিদিন সে চিতই পিঠা বানায় ও আত্মীয় স্বজনকে খাওয়ায়।বিশ বছর পর তার চেষ্টায় চিতই পিঠা বানানোর রেসিপি হচ্ছে। সে ভাতের চাল ও পোলাও এর চাল সমপরিমাণ নিয়ে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখে।  তারপর ব্লান্ডারে গুড়া করে চালনী দিয়ে ছেকেঁ  চালেরগুড়িটাকে সামান্য লবণ ও পানি দিয়ে মেখে ডিপ ফ্রিজে রেখে।  তারপর পিঠা বানানার জন্য ঐ গুড়িটাকে পানি দিয়ে মিহি করে ব্লান্ডার করে। এই মিহি চালের গোলার সাথে পানি মিশিয়ে গোলাটাকে পাতলা করে। এই পাতলা গোলা দিয়ে শুরু হয় পিঠা বানানো।


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ