এখানে আছে একজন কিশোরীর কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ সংলাপ ।এই সংলাপের গুরুত্ত্ব যদি বাবা মা বুঝে মেয়েটিকে কাউন্সেলিং ডাক্তারেল কাছে নিয়ে যেতো তাহলে মেয়েটি মারাত্ত্বক ডিপ্রশনে ভুগতো না। বাবা মা মনে করেছে কিশোর বয়সে বাচ্চারা এমন ঝামেলা করেই, বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে। বাবা মা জানতোই না কাউন্সেলিং ডাক্তার বলে কোন ডাক্তার থাকতে পারে।
মেয়েটি ছুটির দিনে তার বাবাকে বলতো, "চলো বাবা ঐ রাস্তয় সাইকেল চালাতে যাই। বাবা মনে করেছে হয়তো সুবিধা আছে তাই সে এখানে সাইকেল চালাতে আসে।পরে যখন সে ডিপ্রশনে চলে যায় তখন জানতে পারে ঐ রাস্তার অধিবাসী একটি ছেলেকে মনে মনে একতরফা ভালোবেসেছে।
একদিন মায়ের সাথে বই কিনতে যাওয়ার সময় মেয়েটি মাকে বলে, মা আমাকে একটি প্রেমের বই কিনে দাও।মা মনে করেছে এই বয়সে ছেলেমেয়েরা একটু প্রেমের গল্পের বই পড়বেই।কিন্তু মেয়েটি যখন ডিপ্রশনে ভুগে তখন মা বুঝতে পারে বই কিনে দেয়ার সময় থেকেই মেয়েটি একা একা গভীর প্রেমের ইতিহাস রচনা করছে।
আরেকদিন যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে তখন সে বলে, পরের বছর আমি অন্য স্কুলে এক ক্লাশ উপরে ভর্তি হবো। কারণ আমার প্রতিবেশি সমবয়সী বান্ধবী আমার এক ক্লাস উপরে। পরে মেয়েটি অসুস্থ হলে জানতে পারে যে ছেলেটিকে সে ভালোবাসে সে ছেলেটি তার চেয়ে এক ক্লাস উপরে পড়ে। মেয়েটির যুক্তি হলো এক ক্লাস উপরে পড়লে সে এবং ছেলেটি একই বই পড়তে পারবে।কত ছোট ছোট অবুঝ চিন্তা মেয়েটিকে ডিপ্রশনে নিয়ে যায়।
আরেকদিন মেয়েটি তার মাকে বলে, আমার উচ্চতা মাত্র চার ফুট নয় ইঞ্চি।আমাকে হরমোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও। ডাক্তার বলে, আমি তো তোমার চেয়ে খাটো। আমার জীবন তো আটকে নেই।এত জটিল চিন্তা ঠিক নয়।আসলে যে ছেলেটিকে সে ভালোবাসে সে অনেক লম্বা তাই হয়তো সে লম্বা হতে চায়। কিন্তু এই ছোট ছোট অবুঝ চিন্তা তাকে ডিপ্রেশনে নিয়ে গেছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন