পরীক্ষার অমানবিক রুটিন

 শিক্ষকেরা পরীক্ষার রুটিন দিচ্ছে আর   শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে - এটাই যেন চিরন্তন নিয়ম।শিক্ষার্থীর উপর পরীক্ষার রুটিনের চাপ যতই কষ্টকর হউক তা যেন মানতেই হবে।  শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগী হলেও অভিভাবকেরা এর বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না। কারণ অভিযোগ করে কোন অভিভাবক তার সন্তানকে ছোট করতে  চায় না।অভিযোগ করাকে নিজের সন্তানের ব্যর্থতা মনে করে।

কিন্তু শিক্ষার্থীর উপর পরীক্ষার রুটিনের চাপ    অভিভাবকেরা বুঝলেও শিক্ষকেরা বুঝতে চায় না। চাপ হচ্ছে বন্ধ  ছাড়া বিরতি হীন টানা আটদিন পরীক্ষা দেওয়া।  হয়তো শুক্রবার ছুটির দিন থাকার কারণে একটি বিষয়ের মাঝখানে ছুটি থাকে। বাকী টানা সাতদিন বিশ্রাম ছাড়া পড়াশোনা করা কি ম্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়?    একটি  পরীক্ষা দিয়ে আসতে না আসতেই আরেকটি পরীক্ষার জন্য পড়তে বসা। শুধু বসা নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা। কারণ পরীক্ষার সিলেবাস শেষ করতে হবে।

অনেক শি ক্ষা বিষয়ক গবেষকরা বলেন,  পড়াশোনায় শিক্ষার্থীদের চাপ দেয়া ঠিক নয়। কিন্তু পরীক্ষার রুটিন দিয়ে যে  শিক্ষার্থীদের চাপ দেয়া হচ্ছে তা গবেষকদের ভেবে দেখা উচিত।পরীক্ষার রুটিন শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক ম্বাস্থ্যের উপর বিরাট ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ