২০২১সালের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে একদিকে প্রশংসা অন‍্যদিকে সমাল

সরকার  এস এস সি ও এইচ এস সি  পরীক্ষা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছেন, সে  

সিদ্ধান্তের প্রশংসাই করতে হয়।কারণ  যারা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক সরকার  তাদেরকে হতাশ করেন নি এবং যারা ইচ্ছুক নয় তাদেরকেও হতাশ করেন নি। যাই হোক সরকার  করোনা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই এমন সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত  প্রকাশ করেছেন।  যদি করোনার মৃত‍্যুহার ৫℅ এ নেমে আসে তাহলে নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হবে আর যদি না কমে তাহলে  অ‍্যাসাইনম‍্যান্টের ১০℅ সহ পূর্ববর্তী বোর্ড পরীক্ষার মূল‍্যায়ণ করে  পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকার কেন ২০২১ সালের পরীক্ষার্থীদের অ‍্যাসাইনম‍্যান্ট করতে দিয়েছে।জানা গিয়েছে পরীক্ষার্থীদের  পড়ালেখায় ব‍্যস্ত রাখার জন‍্য।যখন সরকার ২০২১ সালের পরীক্ষার্থীদের জন‍্য সংক্ষিপ্ত  সিলেবাস ঘোষণা করেছে তখন থেকেই কিন্তু শরীক্ষার্থীরা আর অটোপাসের দাবী করে নি। পরীক্ষার্থীরা কিন্তু পরীক্ষার প্রস্তুতি ঘরে  পড়াশুনা করেই নিচ্ছে। আমার তো মনে হয় না পরীক্ষার্থীদের পড়াশুনা করানোর জন‍্য অ‍্যাসাইনম‍্যান্টের দরকার ছিল।

আর একটি বিষয় বলা দরকার। সেটি হচ্ছে এখন ২০২১ সালের পরীক্ষার্থীদের কলেজে আর এইচ এস সি   পরীক্ষার্থীদের ভার্সিটীতে  বা অনান‍্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রস্তুতি নেয়ার কথা ছিল। করোনা যদি না কমে তাহলে তো এক হিসাবে অটোপাাশের সিদ্ধান্তেই আসতে হবে।আর কমে গেলে আলাদা কথা। 

করোনা যদি না কমে তাহলে তো অটোপাশের সিদ্ধান্তেই আসতেই হবে।অ‍্যাসাইনম‍্যান্ট দিয়ে সন্তানদের পড়ালেখা করানোর কোন অর্থ হয় না।  শুধু শুধু সময় নষ্ট।জীবনের সময়ের কি কোন দাম নেই।  এখন অটোপাশ দিলে সমালোচনা হবে, পরে দিলে হবে না।  অটোপাশ নিয়ে সমালোচনা দূর করার জন‍্য পরীক্ষার্থীদের এতো সময় নষ্ট করার কোন অর্থ হয় না। সমালোচকদের একটু সময়ের মূল‍্য বুঝান। সময়ের মূল‍্য বুঝিয়ে অটোপাশের ঘোষণা দেওয়াটা আমার মনে হয় অযৌক্তিক কিছু হবে না।আর যদি সময়ের কোন মূল‍্য না থাকে তাহলে সরকারের সিদ্ধান্তই যুক্তিসংগত।


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ