যদি মানসিক হাসপাতাল হয় সক্রিয় বিনোদনমূলক, থাকবে না কোন মানসিক রোগ

 মানসিক রোগ মানে কি? এর মানে হচ্ছে কোন কাজ করার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যাওয়া ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা।আনন্দ অনুভুতির প্রচন্ড অভাব দেখা যায় তাদের মধ‍্যে।যারা মারাত্মক মানসিক রোগে আক্রান্ত তাদের মধ‍্যে এই অবস্থা দেখা যায়।আর এই সমস্ত রোগীরা নিজেদের মন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না যদিও তাদের মধ‍্যে কাজের মেধা থাকে। এই সমস্ত অশান্ত, নিরানন্দ মনের চরম  মানসিক রোগীদের শান্ত করার জন‍্য প্রয়োজন হয়  মানসিক হাসপাতাল।

অথচ মানসিক হাসপাতালের পরিবেশটা  হয় চার দেয়ালে বন্দি জেলখানার পরিবেশ।এই ধরণের পরিবেশ কি  কোন মানসিক  রোগী সুস্থ হবার পরিবেশ হতে পারে? নিরানন্দ মানসিক রোগীর পরিবেশটা হতে হবে সর্বদাই আনন্দময়।  রুমের ভিতরে নামমাত্র টিভি, লুডু ও রোগীর জন্মদিন পালন - এগুলো কি সক্রিয় আনন্দের উৎস হতে পারে? কখনোই না।

একজন টগবগে সুস্থ তরুণ তরুণী যখন হঠাৎ চরম মানসিক রোগীতে রূপান্তরিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তখন  কি ডাক্তারদের উচিত   শুধুমাত্র ওষুধি চিকিৎসার  উপর নির্ভর করে এই সমস্ত রোগীদের হাসপাতালে নিস্ত্রিয় জীবনযাপন করানো? ঔষুধি চিকিৎসার পাশাপাশি  মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের  উচিত রোগীদের প্রতিটি মুহূর্তকে সক্রিয়ভাবে আনন্দময়  করে তোলা।

 এখন প্রশ্ন হচ্ছে  হাসপাতালের ভিতর রোগীদের কিভাবে সক্রিয়ভাবে আনন্দময় করে তোলা যায়। মানসিক রোগীদের ভঙ্গুর মনকে হাসিখুশী রাখার প্রচেষ্টাই হচ্ছে সক্রিয় আনন্দ। নিশ্চয়ই নাচ গান শিখানোর মাধ‍্যমে। কারণ নাচ গান মানুষের অনুভুতিকে স্পর্শ করে।শিক্ষক দিয়ে তাদেরকে সক্রিয়ভাবে নাচ গান শিখাতে হবে  যাতে তারা পরর্বতী  সময়ে  এটা চালাতে উৎসাহ বোধ  করে। আর যদি কেউ নাচ গান পছন্দ না করে তবে তারা যেটা  পছন্দ করে সেটা করাতে হবে।অর্থাৎ রোগীদের কোন না কোন উপযোগী কাজে এমনভাবে সক্রিয় রাখতে হবে যাতে  তারা খুশীমনে থাকতে  পারে এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরও তারা তাদের দায়িত্বশীল কাজ চালিয়ে যেতে পারে।

অথচ রোগী নিয়ে ডাক্তারদের চিন্তাভাবনা হচ্ছে ঔষুধের  মাধ‍্যমে রোগীকে উত্তপ্ত অবস্থা থেকে শান্ত অবস্থায় পরিণত করা। তারপর রোগী বাসায় ফিরে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম কতটুকু চালাতে পারছে সেটা দেখা যেন ডাক্তারের দায়িত্ব নয়।  এটি কি কোন মানসিক রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে? মানসিক রোগের  সঠিক চিকিৎসার জন‍্য  হাসপাতালের সুন্দর  খোলামেলা বিরাট ভবন তৈরি করতে হবে, যে ভবনে থাকবে  বিনোদনের পৃথক পৃথক রুম।

আর মানসিক রোগ নির্মূল করার জন‍্য বিনোদনমূলক মানসিক হাসপাতাল তৈরির জন‍্য সরকারকে  এগিয়ে আসতে হবে তরুণ মানসিক রোগীর মত তাজা প্রাণ বাচানোর জন‍্য। আর যদি সরকার এগিয়ে না আসে  অনেক তাজা প্রাণ  মৃত মানুষের মত বোঝা হয়ে বাচবে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ