ছোটখাটো আচরণেই পশুত্বের চিহ্ন

 আমরা দৈনন্দিন জীবনের আলাপ আলোচনায় সাধারণ  দোষ ক্রটিগুলো আমাদের চোখে পড়ে না বা চোখে পড়লেও এই দোষ ক্রটি কোন দোষের কিছু নয় বলে উড়িয়ে দেয়।অনেক সময় দোষ ধরিয়ে দিতে গেলে হয় তর্কের সৃষ্টি। আসলে তর্ক করে কখনো দোষ ক্রটি সংশোধন করা যায় না। নিজ থেকে কেউ যদি নিজের দোষ   বুঝে  সংশোধন না করে আরেকজনের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। আমাদের স্বভাব গঠিত রাগ, ক্রোধ, হিংসা, নিন্দা, ঘৃণা, লোভ, ভালবাসা অর্থাৎ ভালো মন্দ অনুভুতি দিয়ে।আমরা বিধাতার নাম যত  ভুলে থাকি তত খারাপ অনুভুতিগুলো জাগ্রত থাকে।যাই হোক এত বিশ্লেষণধর্মী কথা বলে লাভ নেই।আমরা এখন দেখি ছোটখাটো কোন আচরণে পশুত্বের চিহ্ন প্রকাশ পেয়েছে  তিনজন ব‍্যক্তির সংলাপে।

 প্রথমজন  ঃ এই যে আমি তোর গাছের ডাল ভেংগেছি।

দ্বিতীয়জন ঃঐ দেখো  আম্মু, প্রতিদিন আপু আমার গাছের  ডাল ভাঙ্গছে।

প্রথমজন ঃএই  হলুদ মরা ডাল  গুলো তো নিজে নিজেই ভেঙ্গে পড়ে যায়। আমি ডালগুলো ভাঙ্গি  ও না।শুধুমাত্র ধরি আর ডাগলগুলো গাছ থেকে খুলে আসে।

তৃতীয়জন ঃ যাই হোক মরা ডালগুলো ভেঙ্গে তুই কেন শুধু শুধু আসামী হবি। গাছ তো ওর। ও দেখতে চায় কয়টি মরা ডাল গাছের নিচে পড়ে থাকে।

দ্বিতীয়জন ঃআর গাছের ডাল ভেঙ্গো না  (মুখ ভার করে)।

প্রথমজন ঃ তুই  অনেক বেয়াদব হয়ে গেছিস। কিছু বলি না তো। মুখের উপর কথা বলে। এখন থেকে ছাড় দিয়ে দিলে বড় হলে মাথায় উঠে যাবে (প্রচন্ড রাগ হয়ে)।


প্রথমজনের কথা শুনে দ্বিতীয়জন ও তৃতীয়জন চুপ হয়ে গেছে।  এখন যে কোন কথা বললেই বেয়াদবী মনে করে তার রাগ আরো বেড়ে যেতে পারে    -  এই ভেবে দ্বিতীয়জন চুপ হয়ে গেছে।আর প্রথমজনের বিপক্ষে কোন যুক্তি দেখালে তার রাগ আরো বেড়ে যেতে পারে বলে তৃতীয়জন চুপ হয়ে গিয়েছে।

 দ্বিতীয়জনের অপরাধ হচ্ছে মুখ ভার করে সে কথা বলেছে।আর তৃতীয়জন হয়তো যুক্তি দেখাতো যে ছোটদের  মতামত প্রকাশকে সবসময়  বেয়াদবী ভাবা ঠিক নয়।

যাই হোক অল্পতেই যে কোন সাধারণ  কথা নিয়ে রাগ হওয়াটা অজ্ঞতা ও দুষিত মনেরই পরিচয়। আসলে মানুষের কলহ থেকে যে খারাপ ঘটনা ঘটে এর জন‍্য দায়ী মানুষের স্বভাব, কোন ঘটনা দায়ী হতে পারে না।শান্তিপূর্ণ জীবনের জন‍্য আমাদের সবার প্রয়োজন ক্রোধজনিত রাগমুক্ত বিশুদ্ধ মন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ