নামকরা ডাক্তারদের একই রোগীকে তৃতীয়বারে ফ্রিতে দেখা উচিত
রোগীরা যখন দীর্ঘদিন জটিল রোগে ভুগে তখন আর রোগীরা টাকার হিসাব করে না। রোগমুক্ত হবার জন্য নামকরা ডাক্তারদের পিছনে ছুটে।তাদের প্রথমবারের ভিজিট ১৮০০ টাকা। প্রথমবার তেমন কোন ঔষুধ দেয় না। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা চূড়ান্তভাবে ৫/৬ রকমের ঔষুধের নাম লিখে দেয়।
কিন্তু ঔষুধ খাওয়ার পর রোগীরা যে ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে পারে এটা তো ডাক্তারদের জানার কথা। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে অনেক রোগী ঔষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়।তৃতীয়বার অনেক রোগীরা ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না তাদের চড়া ভিজিট এর কারণে।মাত্র ৮/৯ দিনের ব্যবধানেই তৃতীয়বারে ডাক্তারদেরকে চড়া ভিজিট দিতে হয়। অনেক রোগীদেরকে দেখা যায় তৃতীয়বারের মতো সাধারণ ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে।
ঔষুধ খাওয়ার পর রোগীর ভালো লাগা ও খারাপ লাগার সময় রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপৃর্ণ সময়। যদি খারাপ লাগে তখন নানা সমস্যার কারণে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। এই সমস্যা দূর করার জন্য ডাক্তারদের উচিত অহমিকা সরিয়ে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। ডাক্তারদের উচিত রোগীর সাথে তাদের ফ্রিতে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া।ঔষুধ খেয়ে রোগীরা যাতে তাদের ভালো লাগা ও খারাপ লাগা শেয়ার করে ডাক্তারের মূল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে।তারপর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী রোগীর ঔষুধ খাওয়া শেষ হলে চতুর্থবার না হয় রোগীরা ডাক্তারকে চড়া ভিজিট দিয়ে দেখাবে।
আর একটি কথা, রোগীর খারাপ লাগার কি সময় অসময় আছে? হাসপাতালে অন্য ডাক্তার থাকলে কি কাজ হবে, রোগী যে ডাক্তার দেখিয়েছে সে ডাক্তার যদি রোগী না পায়। রোগীর খারাপ লাগছে বৃহষ্পতিবার, শুক্রবার অথচ এই দুই দিন ডাক্তারের দেখা নেই। ডাক্তারের দেখা পেতে হলে শনিবার, তাহলে এই দুইদিন রোগী কি করবে? ঔষুধ না খেয়ে কষ্ট করতে থাকবে। কারণ যে ঔষুধ খেলে রোগীর অনেক খারাপ লাগে, সেই ঔষুধের ব্যাপারে ডাক্তারের আশ্বস্তমূলক পরামর্শ রোগীর শুনা উচিত। এখন ৮/৯ দিনের মধ্যে তিনবারের বেলায় দেখাতে হলেও যদি ডাক্তারকে ভিজিট দিতে হয় এটা কি ঠিক? তৃতীয়বারের বেলায় যাতে রোগী ঔষুধের ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারে এর জন্য ডাক্তারের সহযোগীতা করা উচিত। ডাক্তারেরও শান্তি অশান্তি আছে, শান্তি পেতে হলে রোগীর কষ্ট বুঝতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন