রাগ আর ক্ষোভের কাছে ভালোবাসা হাারিয়ে যায় কেন
মানুষের মুখে মুখে একটি কথাই শুনা যায় - প্রেমের বিয়ে টিকে না। কোথায় হারিয়ে যায় তাদের ভালোবাসা? তালাকের মত ঘৃণিত কাজের মাধ্যমে যে পক্ষ ভালোবাসা শেষ করে দেয় সে কখনো তার অন্তরে ভালোবাসার বীজ বপন করতে পারবে না।
ভালোবাসা যদি মৃত্যুর কাছে হারিয়ে যায় তাও ভালোবাসার সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা বজায় থাকে যদি মৃত্যুটা হয় স্বাভাবিক মৃত্যু । কারণ মৃত্যু মানুষের অন্তর কলুষিত করে না
আফসোস, ভালোবাসা হারিয়ে যায় রাগ আর ক্ষোভের কাছে। যে ভালোবাসা রাগ ও ক্ষোভের কাছে হারিয়ে যায় সে ভালোবাসাহীন অন্তর কখনো পবিত্র হতে পারে না।আর এই অপবিত্র অন্তরের ইবাদত কখনো আল্লাহর কাছে পৌছায় না। হাদীছের কথা - ভালোবাসা ছাড়া কলেমা পড়লেও কাজ হয় না।অথচ ভালোবাসা ছাড়াই মানুষ তার দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাইতো কাজকর্মে থাকে না মানুষের মানবিকতার চিহ্ন।
কিন্তু মানবিকতার সংজ্ঞা অনেকের কাছে বাহ্যিক পোষাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।যারা সীমিত সংজ্ঞায় বিশ্বাস করে তাদের প্রেম তো আর মানবিক প্রেম হতে পারে না।তাদের প্রেম সীমাবদ্ধ বাহ্যিক স্বার্থ আদায়ের মধ্যে। যখনই তাদের স্বার্থে আঘাত লাগে তখনই তারা ভালোবাসার মানুষটিকে বস্তুর মত ছুড়ে ফেলে।
তালাক কাজটি হচ্ছে একটি মানবিক পরিবেশ দূষণের কাজ।সহজেই বিয়ে যাতে ভাংগতে না পারে এ কারণে সমাজে একটি প্রথা প্রচলিত রয়েছে- বেশি বেশি টাকার কাবিন লেখানো। টাকা দিয়ে কখনো মানবিকতা শিক্ষা দেওয়া যায় না।
আজকালের প্রেমের বিয়ের তালাকনামায় কোন পক্ষের চোখে কোন জল দেখা যায় না। শুধু দেখা যায় ক্ষোভ আর ক্ষোভ। এই হচ্ছে প্রেমের বিয়ের অমানবিক পরিণাম। এই কারণেই সরকারকে বলছি তালাকের মত স্পর্শকাতর বিষয় যেন অমানবিকভাবে সম্পন্ন না হয়। অমানবিকভাবে সম্পন্ন হলে ওরা জায়গায় জায়গায় অমানবিকতার কাজ করে পরিবেশ দৃষণ করতে থাকবে।
তালাকের মানবিকতার বিষয় হচ্ছে দুপক্ষ যেন সমঝোতার অর্থাৎ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তালাকের কাজটি সম্পন্ন করে।সরকারের উচিত কাজি অফিসের মাধ্যমে ওদের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়া যারা আলাপ ছাড়া এককভাবে তালাকের কাজটি সম্পন্ন করেছে।
এককভাবে তালাক দেয়া রাগ আর ক্ষোভের মত অমানবিক কাজেরই বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন