শুধু করোনা নয়, যে কোন ভাইরাস ধ্বংস করতে জাগ্রত অক্সিজন
আমরা সবাই দেখতে মানুষ হলেও স্বভাবে কি সবাই মানুষ হতে পারি? দেখতে শ্বাস প্রশ্বাসের কার্যকলাপ একই রকম হলে কি সবার শ্বাস প্রশ্বাসের ক্ষমতা কি এক?
আমরা সাধারণ মানুষ বেচেঁ থাকার জন্য জন্য জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে থাকি সেটা হচ্ছে সাধারণ বা ঘুমন্ত শ্বাস প্রশ্বাস। কারণ এই শ্বাস প্রশ্বাসকে শক্তিশালী করার কোন চেষ্টা বা সাধনা আমাদের মত সাধারণ মানুষের মাঝে নেই। যারা বিধাতাকে পাওয়ার সাধনা করে আর যারা করে না, অবশ্যই তাদের দুজনের শ্বাস প্রশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কারণ যারা বিধাতাকে পাওয়ার চেষ্টা করে তারা প্রতি নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বিধাতার নাম কার্যকরীভাবে স্মরণ করে ও ঐশ্বরিক শক্তি লাভ করে। তাদের অক্সিজেন মাথা থেকে শুরু করে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত সর্বদাই কার্যকরী থাকে।
আমরা তো জানি শুধু অক্সিজেন বাড়ানোর খাবার খেয়ে অক্সিজেন বাড়ানো যায়। কিন্তু পচাঁ একটি মন নিয়ে শুধু অক্সিজেন বাড়ানোর খাবার খেলে শরীরে চর্বি জমা ছাড়া আর কোন লাভই হবে না। আরো জানি শারীরিক ব্যায়াম করে অক্সিজেন বাড়ানো যায়। এখানেও একই অবস্থা। পঁচা একটি মন নিয়ে শুধু শারীরিক ব্যায়াম দিয়ে কখনো জাগ্রত অক্সিজেন পাওয়া যাবে না। হয়তো ক্ষনিকের জন্য অক্সিজেন পাওয়া যেতে পারে যেটা করোনা বা কোন ভাইরাস ধ্বংস করার জন্য উপযুক্ত হবে না।
আমাদেরকে জানতে হবে মনের ব্যায়াম বলে একটি ব্যায়াম আছে যেটার নাম সাধনার ব্যায়াম বা সাধারণ মানুষ প্রকৃত মানুষ হওয়ার ব্যায়াম। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ভিতরের অক্সিজেন সর্বদাই গতিশীল থাকবে। এই গতিশীল অক্সিজেনকে রোগ প্রতিরোধী অক্সিজেন বলা যায়। কারণ এই অক্সিজেন শরীরে কোন চর্বি জমতে দিবে না, মনকে রাখবে প্রাণবন্ত।শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে রাখবে সক্রিয়। এছাড়া শুধু করোনা নয় যে কোন ভাইরাস ধ্বংস করার জন্য এ অক্সিজেন থাকবে সদা সক্রিয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন