করোনা প্রতিরোধে অক্সিজেনের ভিন্ন গল্প

  করোনা প্রতিরোধ করার জন‍্য গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে কার্যকরী টিকা আবিষ্কার করতে  সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এখন শুধু সবাই টিকা  পাওয়ার বাকি।   সবাই টিকা পেতে অনেক সময় লাগবে। এই সময়ের মধ‍্যে  লাখ লাখ  মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে করোনা প্রতিরোধ   করার জন‍্য টিকার পাশাপাশি অন‍্য কোন বিকল্প উপায় কি বের করতে পারে না, যে বিকল্প উপায়ের জন‍্য আমাদের কারো উপর নির্ভর করতে হবে না। সে উপায়টা থাকবে আমাদের শরীরের ভিতর।

বিজ্ঞানীরা  বা গবেষকরা তো মানুষের কল্পনাতীত কত কিছুই আবিষ্কার করেছেন।আমি বলতে চাই, বিজ্ঞানীরা  শরীরের ভিতর এমন এন্টিবডি আবিষ্কার করুক যাতে করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পরও সেই এন্টিবডি শক্তিশালী সৈনিকের মত তা প্রতিরোধ করতে পারে।

আমার মাথায় এই ধারণা এসেছে  সাধক মানুষের অলৌকিক ক্ষমতার গল্প শুনে।অতীতে এমন সাধক মানুষ ছিলেন যাদের শরীর  ছিল বুলেট প্রুফ  বা বর্তমানে ও এমন সাধক আছেন  যারা মানুষের কাছে নিজেদেরকে ধরা দিতে পছন্দ করেন না। এছাড়া  আমরা যারা নিজেদেরকে মানুষ মনে করি তাদের চোখে হয়তো আমরা এখনো মানুষ হই নি।

এ পৃথিবীতে  সবলের হাতে দূর্বলেরা নির্যাতিত হচ্ছে। একই মানুষ   তুলনামুলকভাবে একবার সবল ও একবার দূর্বল।এর মানে প্রতিটি মানুষই পর্যায়ক্রমে নির্যাতিত হচ্ছে।আর  এত নির্যাতনের মধ‍্যে কি ভালোবাসা থাকে? ভালোবাসা মানুষের অন্তরে নেই, ভালোবাসা আছে পোষাকে। এর মানে মিথ‍্যা ভালোবাসার আবরণে মানুষ তার জীবনযাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ যেখানে বিধাতাকে চিনার একমাত্র উপায় হচ্ছে সত‍্যি ভালোবাসা।সাধকদের প্রধান উপদেশ একটাই- "মানুষকে ভালোবাসো,ভালোবাসা ছাড়া কলেমা পড়লেও কাজ হয় না।"

 এখন প্রশ্ন হচ্ছে  করোনা প্রতিরোধে তো আমাদের অক্সিজেন প্রয়োজন, ভালোবাসার কথা এখানে আসছে কেন? আমরা কি কেউ একবারও ভাবি আমরা প্রতিটি মানুষ ভালোবাসার ফসল। সুতরাং ভালোবাসার অনেক শক্তি।  আমাদের শরীরে নয়, আমাদের অন্তরে ভালোবাসার বীজ বপন করতে হবে।এই বীজ থেকেই তৈরি হবে  অক্সিজেন, যে অক্সিজেন শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখবে।

আমার মনে হয় বিজ্ঞানীরা যদি  শরীরে কিভাবে ভালোবাসার  অক্সিজেন তৈরি করা যায়,  সেটা  নিয়ে গবেষণা চালাতো তাহলে এতদিনে তারা এটা আবিষ্কার করে ফেলতে পারতো। বিজ্ঞানীরা যদি শরীরের ভিতর ভালোবাসার অক্সিজেন তৈরির উপায় আবিষ্কার করতে পারে তাহলে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করার পরও মানুষ অক্সিজেন সংকটে ভুগবে না।

আসলে করোনা প্রতিরোধ করার  টিকা আবিষ্কার গবেষকদের কাছে যতটা সহজ হয়েছে, শরীরের ভিতর ভালোবাসার অক্সিজেন তৈরির আবিষ্কার তত সহজ হবে না। কারণ ভালোবাসার এই অক্সিজেন আবিষ্কার করতে হলে গবেষকদের নিজেদের সাধক হতে হবে এবং  পুরো পৃথিবীর মানুষকে সাধক হতে হবে।তবে সাধক হওয়ার জন‍্য সংসার ধর্ম ত‍্যাগ করতে হয় না।  চিন্তাধারায় সাধক হতে হয়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ