#পৃথিবীবাসী,নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো

 মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর মানুষের সৃষ্টিকর্তা কিন্তু একজন। শুধুমাত্র এক এক ধর্মের মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে এক এক নামে ডাকি। সবধর্মের মূলকথা কিন্তু এক - মানবতাই বড় ধর্ম,মানুষকে ভালোবাসো।  কোন ধর্মে কিন্তু মানুষকে অবহেলা, ঘৃণার কথা বলা হয় নি।তবে কেন  বিশ্বে ঘৃণা, রেষারেষির যুদ্ধ দেখা যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তাই বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করিও না। অথচ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আল আকসা মসজিদে হামলার পর থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনের  মাঝে যুদ্ধ চলছে।

যুদ্ধ কেন হয়? যুদ্ধ হয় রাগ,ক্ষোভ, লোভ,ঘ‍ৃণার মত নফসের তাড়নায়। ন‍্যায়ের  পথে যারা যুদ্ধ করে এরা আত্মরক্ষার জন‍্য, শান্তির জন‍্য যুদ্ধ করে। আর অন‍্যায়ের পথে যারা যুদ্ধ করে তারা অন‍্যকে ধ্বংস করার জন‍্য যুদ্ধ করে। পৃথিবীবাসী কি বুঝে না কারা ন‍্যায়ের পথে ও কারা অন‍্যায়ের পথে যুদ্ধ করে।

পৃথিবীর বড় বড় নেতৃবৃন্দরা তো মানবতার পক্ষে কথা বলে। মানবতার পক্ষে কথা বলা মানে রাগ, ক্ষোভের মত নফসের বিরুদ্ধে কথা বলা।  আর যে সমস্ত কাজ রাগ আর  ক্ষোভ থেকে সংঘটিত হয় সেটি হচ্ছে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ।বর্তমানে এই ঘৃণিত কাজটি কে করছে? ইসরাইল করছে। ইসরাইল প্রথমে যুদ্ধ শুরু করেছে আল আকসা মসজিদের উপর হামলা চালিয়ে।

যারা ইসরাইলের পক্ষে কথা বলবেন তাদের কথা বলাটা হবে মানবতার বিপক্ষে কথা বলা। আর যারা ফিলিস্তিনের   পক্ষে কথা বলবেন তাদের কথা বলাটা হবে  মানবতার পক্ষে কথা  বলা।

 যাদের প্রশ্রয়ে ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাথে যুদ্ধ করছে সৃষ্টিকর্তা তাদের মাফ করবে না। বিশ্ববাসী কি দেখে না- করোনা মহামারীতে লাখ লাখ লোক মারা যাচ্ছে। ইতিহাস থেকেও কি মানুষ শিক্ষা  পায় না - যারা অন‍্যায়ভাবে মানুষের সাথে যুদ্ধ  করে সৃষ্টিকর্তা একদিন না একদিন তাদের ধ্বংস করে দিবে।

পৃথিবীতে কার রাগ, ক্ষোভ কত বেশি - সেটা দেখানোর লড়াই চলছে। বিশ্বে মনুষ‍্যত্ব দেখানোর পরিবর্তে  কার পশুত্ব কত শক্তিশালী -  সেটা দেখানোর লড়াই চলছে। এটা যদি না হবে তাহলে কেন ইসরাইলের সাথে ফিলিস্তিনের  যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে না।

ইসরাইলকে সমর্থন দেয়া মানেই পশুত্বকে সমর্থন দেয়া অর্থাৎ খারাপ নফসকে সমর্থন দেয়া।পশুত্বকে সমর্থন  দেয়া মানে নিজের পশুবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলা।পশুবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলা মানে আমাদের  দেহের আকৃতিটা  মানুষের মতো কিন্তু অন্তরটা পশুর মতো। শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হয়ে আমরা  যদি মনুষ‍্যত্ব অর্জন করতে না পারি তাহলে এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে।

যাদের মধ‍্যে মনুষ‍্যত্ব নেই তাদের মধ‍্যে ভালোবাসা নেই।  ভালোবাসা হচ্ছে সঠিক জ্ঞানের দিক নির্দেশক। তাহলে কি ধরে নিবো-  পৃথিবীর বড় বড় নেতৃবৃন্দের মধ‍্যে মনুষ‍্যত্বের ভালোবাসা নেই। মনুষ‍্যত্বের ভালোবাসা থাকলে   আর কেউ প্রশ্রয় না দিলে ইসরাইলের সাহস হতো না ফিলিস্তিনের  সাথে  যুদ্ধ করার। হে বিশ্বের নেতৃবৃন্দগণ, ইসরাইল ফিলিস্তিনি  যুদ্ধ বন্ধ করে মনুষ‍্যত্বের পরিচয় দিন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ