অমানবিকতা দমনের জন‍্য তালাকের নতুন আইন তৈরি জরুরী

   আমরা নেট প্রযুক্তির যুগে বাস করছি। বর্তমানের নেট প্রযুক্তির ছেলেমেয়ের চালচলন ও ৮০/৯০ দশকের ছেলেমেয়ের চালচলন কি এক?  তখনকার দিনের ও বর্তমান সময়ের প্রেমও বিয়ের বৈশিষ্ট‍্য কি এক? কখনোই না।

আজকালের প্রেম  হতেও দেরি নেই, ভাঙ্গতেও দেরি নেই। আবার যে সমস্ত  প্রেম বিয়েতে পরিণত হয় সেই সমস্ত প্রেমের বিয়েও টিকছে না। কেন?

প্রেমের বিয়ে বলে কথা।সবার ধারণা এই যে প্রেমের বিয়েতে বুঝি ভালোবাসা বেশি থাকে। কিন্তু ধারণা ভুল। আজকালের প্রেম, বিয়ে ক্ষণিকের।আর এই প্রেমের বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটাতেও সময় নেয় খুব কম সময়। মানে  দুপক্ষের মাঝে কোন বোঝাপড়া ছাড়াই খুব দ্রুত বিচ্ছেদের কাজটা ঘটে যায়। অর্থাৎ নেট যুগের  নব বিবাহিত স্বামী স্ত্রীরা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নিজেরাই বিচ্ছেদের কাজটা সেরে ফেলে। অভিভাবকের অনুমতির কথা বাদই দিলাম, স্বামী জানে না স্ত্রী তাকে  তালাকের নোটিশ পাঠাচ্ছ আর স্ত্রী জানে না স্বামী স্ত্রীকে তালাকের  নোটিশ পাঠাচ্ছে। এই যে এককভাবে বা  স্বৈরাচারীভাবে তালাকের নোটিশ পাঠানো  - এটা একটি অমানবিকতার কাজ। তালাক হতেই পারে,কিন্তু সেটা তো হবে অন্তত স্বামী স্ত্রীর সমঝোতার ভিত্তিতে।   রাস্ট্রীয় স্বৈরাচারী আচরণ দেখা যায় কিন্তু ব‍্যক্তিগত স্বৈরাচারী আচরণ  একমাত্র ভুক্তভোগীরাই দেখতে পায়।

 স্বামী বা স্ত্রী  যে পক্ষ অমানবিক তালাকের কাজটি সম্পন্ন করে , এই ধরণের অমানবিক কাজের জন‍্য সে পক্ষের মানুষের বিরুদ্ধে যদি শাস্তির বিধান না থাকে  তাহলে করোনা মহামারীর মত এ সমাজ, পৃথিবী অমানবিক মহামারীর আচরণ দিয়ে ভরে  যাবে।

তালাকের যে নতুন আইন তৈরির কথা বলছিলাম   সেটা হচ্ছে  - স্বামী বা স্ত্রী দুজনেই যদি দুজনের সম্মতি ছাড়া তালাকের নোটিশ পাঠায় সেটা হবে শাস্তিযোগ‍্য অপরাধ। 

হায়রে প্রেম, হায়রে বিয়ে - সবকিছুতেই গলদ।তাইতো প্রেমের বিয়ের এই পরিণতি। নেট যূগের প্রেমে নেই কোন বিরহ ব‍্যথা।   ইচ্ছে করলেই যখন তখন কথা বলা যায়,একসাথে বসে রেস্টুরেন্টে খাওয়া যায়। তাইতো আজকালের ছেলেমেয়েরা প্রেমের মূল‍্য দিতে জানে না বা বুঝে না।

যাই হউক এখানে প্রেমের মূল‍্য শিখানো হচ্ছে না, এখানে অমানবিকভাবে তালাক প্রদানের অপরাধীকে চিহ্নিত  করে তাকে শাস্তি দেয়ার কথা বলা হচ্ছে সে স্ত্রী বা স্বামী যে পক্ষই হউক।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ