এটি কি বেয়াদবী নাকি প্রতিবাদী আচরণ

 বড়দের মুখের উপর কথা বলা কি বেয়াদবী  নাকি প্রতিবাদী আচরণ  - এটা নিয়ে বড় ও ছোটদের মাঝে তর্ক হয়।    সমান সমান বয়সের মানুষের মাঝে তর্ক মানায়, যদিও তর্ক  করাটা খারাপ। কিন্তু বড় ও ছোটদের মাঝে তর্ক হওয়াটা বড়দের জন‍্য  খুবই লজ্জাজনক বিষয়।  যদি বড়রা এই বিষয়টি বুঝতো তাহলে ছোটদের সাথে  কখনোই  তর্ক করতো না।  ছোটদের সাথে তর্ক করা মানেই  বড়দের প্রতি ছোটদের অবাধ‍্যতা ও নিজের মূর্খতা প্রকাশ পাওয়া।

 বড়দের উচিত চিন্তা করে বের করা, কেন ছোটরা বড়দের সাথে তর্ক করার সাহস পায়। নিশ্চয়ই বড়দের আচার আচরণে ক্রটি রয়েছে , যে ক্রটির কারণে ছোটরা বড়দের সাথে  তর্ক করার সুযোগ পায়।

বড়দের সাথে তর্ক করাকে ছোটরা মনে  করে অন‍্যায়ের প্রতিবাদ করা।আর বড়দের সাথে ছোটদের তর্ক করাকে বড়রা মনে করে বেয়াদবী।

 দুপক্ষের চিন্তাধারা থেকে দুপক্ষই সঠিক।   কিন্তু  দুপক্ষের চিন্তাধারায় ভুল রয়ে গেছে। ভুল রয়ে গেছে বলেই দুপক্ষ পরস্পরকে খারাপ মনে করছে। ছোটরা মনে করছে বড়রা অন‍্যায় করছে আর বড়রা মনে করছে ছোটরা বেয়াদবী করছে।

 এরকম ভুল চিন্তাধারার কারণেই সংসারে অশান্তি এমন কি খুনের ঘটনাও  ঘটে। এরকম ভুল চিন্তাধারার সংশোধন হওয়া উচিত।অবশ‍্যই বড়দের আগে সংশোধন হওয়া উচিত।  বড়রা যদি আগে  সঠিক আচরণ  না করে ছোটরা কিভাবে করবে। ছোটরা  তো বড়দের কাছ থেকেই শিখে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে  বড়দের কিভাবে সংশোধন হওয়া উচিত। তর্ক করার মুহূর্তে বড়দের উচিত চুপ করা থাকা  ছোটদের বেয়াদবী আচরণ সংশোধন করার জন‍্য। পরে ছোটদের রাগ যখন কমে যাবে তখন ঠাণ্ডা মাথায় ছোটদেরকে এ কথা বলে বুঝাতে হবে, "তুমি যদি ঘরে বড়দের সাথে তর্ক কর, বাইরের লোকদের সাথে তর্ক করার অভ‍্যাসটা তোমার থেকে যাবে। লোকেরা তখন তোমাকে বেয়াদব বলে খারাপ মনে করবে। 

 আসলে শিক্ষিত অশিক্ষিত  যে কোন পরিবারেই এরকম ভুল চিন্তাধারার আচরণ লক্ষ‍্য করা যায়। আচরণ আসলে জ্ঞানের বিষয়। কাগজের সার্টিফিকেট দিয়ে কখনো সঠিক জ্ঞান অর্জন করা যায় না ।সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হলে নিজেকে  চিনার জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সুতরাং বড়দের আগে জ্ঞান অর্জন করতে হবে  ঘরের,বাইরের, সমাজের পরিবেশ সুন্দর করার জন‍্য।


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ