করোনাকালে গ্রাম ও শহুরে শিক্ষার্থীদের জন‍্য আলাদা নিয়ম চালু করা জরুরী

  সারা  বছর গ্রাম ও শহুরে শিক্ষার্থীদের জন‍্য  পড়াশুনার একই সিস্টেম চালু থাকলেও   করোনাকালে তা চালু থাকা ঠিক নয়।  কারণ গ্রাম ও শহরের পরিবেশ ভিন্ন।   সারা দেশে লকডাউন জারী করলেও  লকডাউনের প্রভাব কিন্তু গ্রামের শিক্ষার্থীর উপর পড়ছে না।গ্রামের শিক্ষার্থীরা কিন্তু চার দেয়ালের বন্দীখানায় জীবন কাটাচ্ছে না।  এরা কিন্তু খোলা মাঠে, মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়িয়ে আনন্দে সময় কাটাচ্ছে।

অপরদিকে দেখা যায়, শহরের শিক্ষার্থীরা চার দেয়ালের বন্দীখানায় আবদ্ধ থেকে তারা মানসিক অস্থিরতায় ভুগছে।কারণ লকডাউন ঘোষণা হলে যার যার ঘরেই বন্দী থাকতে হয় করোনা মহামারীর ভয়ে।   বন্ধুরা একজন আরেকজনের কাছে আসা বন্ধ করে দেয়। এ রকম বন্দীদশায়  তরুণ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ‍্য ভালো  থাকার কথা নয়।শহুরে তরুণ শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ‍্য রক্ষার কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত শহুরে শিক্ষার্থীদের জন‍্য  পড়াশুনার আলাদা নিয়ম তৈরি করা।

যেমন, শহরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই  বলছে,"শুধুমাত্র অ‍্যাসাইনম‍্যান্ট লিখে সময়  কাটছে না। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সময় কেটে যেত, পড়ার চাপ থাকত।  পরীক্ষার চাপ না থাকলে মনে হয় যেন কোন কাজ নেই। কাজ ছাড়া কি কোন মানুষের সময় কাটতে পারে?"

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন শহুরে শিক্ষার্থীরা এত কথা বলল? কারণ তারা করোনাকালের লকডাউনে বন্দী জীবনযাপন  করছে।  তারা গ্রামের শিক্ষার্থীর মতো উন্মুক্ত জীবনযাপন  করছে না।এ অবস্থা দেখে শহুরে ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের  একপাল্লায়  মাপা উচিত নয়। গ্রামের সকল শিক্ষার্থীদের নেট সুবিধা  নেই বলে সরকার  হয়তো অনলাইন পরীক্ষা কার্যক্রম বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এই ঘোষণা  শহুরে শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ‍্যের উপর বিরাট প্রভাব  পড়বে।

তাই সরকারকে অনুরোধ করছি সবকিছুর উপর লকডাউন জারী হলেও শহুরে শিক্ষার্থীর অনলাইন পরীক্ষার উপর যেন লকডাউন জারী না হয়।  সরকার যেন শহুরে শিক্ষার্থীর জন‍্য অনলাইন পরীক্ষা চালু করার ঘোষণা দেয়। কারণ এ লকডাউনে পরীক্ষাই শহুরে শিক্ষার্থীর মন স্থিতিশীল  ও জীবন গতিশীল রাখতে সাহায করবে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ