করোনা দ্বিতীয়বার এসেছে সঠিক নিয়ম তৈরি করতে
করোনা যেন এক অদৃশ্য শক্তি, সে দ্বিতীয়বার এসেছে পৃথিবীকে এ বার্তা দিতে " পৃথিবীতে যতদিন পরিপূর্ণভাবে মানবিক নিয়ম নীতি তৈরি হবে না, ততদিন এ পৃথিবীতে মহামারি আকারে থেকে যাব। যত তাড়াতাড়ি এই শুদ্ধ নিয়ম নীতি তৈরি হবে তত তাড়াতাড়ি এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেব। পৃথিবীকে শুদ্ধ মানবিক পৃথিবীতে রূপান্তরিত করার জন্যই আমার জন্ম হয়েছে ।"
আমিও করোনার এই বার্তার সাথে একমত না হয়ে পারি না। ঘরে বাইরে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কেউ কি অস্বীকার করতে পারবে, অধঃস্তন কর্মীর উপর উর্ধ্বতন কর্মীরা দমন নিপীড়নমূলক আচরণ করে না ? একমাত্র ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারে তা।
সারাজীবন শুনে এসেছি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজের চাপ বেশি থাকে এবং সরকারী চাকরির মত চাকরির কোন গ্যারান্টি নেই। সারাক্ষণই চাকরি হারানোর ভয় তাদের মনে কাজ করে। আর চাকরী টিকিয়ে রাখার জন্য তারা অনেক পরিশ্রম করে। এটা কি কোন অমানবিকতা নয়? এটা তো কর্মীদের দেহ ও মনের উপর বিরাট চাপ পড়ে। চাকরি নিয়ে দুঃশ্চিন্তা তাদের জীবনের সুখ কেড়ে নেয়। এর জন্য কারা দায়ী ? নিঃশ্চয়ই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা।
প্রথমেই বলে নেই,আল্লাহর ওলী ছাড়া যে কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রকৃত মানুষ হওয়া অনেক কঠিন কাজ। মানুষ হওয়া সাধনার জিনিস।যাই হউক একজন মানুষ নিজে মানুষ হলেই অন্যজনের কষ্ট বুঝবে। তার মানে আমরা কেউ মানুষ হতে পারি নি তাই অন্যজনের কষ্ট বুঝি না। আর এজন্যই করোনা দ্বিতীয়বার এসেছে মানুষের শরীর ও মনের কষ্ট বুঝে মানুষের জন্য মানবিক নিয়ম নীতি তৈরি করতে।
যেমন, করোনার কারণে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছে, "কর্মীরা যেন সপ্তাহে তিনদিন অফিসের কাজ করে অর্থাৎ অফিস সাতদিনই চলবে কিন্তু প্রতিটি পদের জন্য দুইজন কর্মী থাকবে। এটাই হবে কর্মীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের চাকরীর মানবিক নিয়ম। এভাবে কাজ করলে কর্মীদের দেহ ও মন ভালো থাকবে। কারণ সপ্তাহে সাতদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চেয়ার টেবিলে বসে বসে কাজ করলে কার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ? এভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি অধঃস্তন কর্মীর দেহ ও মনের সুস্থতার কথা চিন্তা করে কাজের চাপ কমিয়ে দেয় সবাই পৃথিবীতে শান্তির জীবনযাপন করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ছাড়া সবাই কিন্তু একবার হয় উর্ধ্বতন আরেকবার হয় অধঃস্তন। আমরা সবাই যদি অধঃস্তন কর্মীর উপর সহনশীল হই তাহলে পৃথিবী একটি মানবিক পৃথিবীতে রূপান্তরিত হবে। আর কোন মহামারী ইনশাআল্লাহ আমাদের ধাওয়া করবে না।
নাছরীন আক্তার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন