অহংকারের কারণে করোনা মহামারী বাড়ছে

  এত অহংকার কিসের মানুষের, যে মানুষ পারবে না মৃত‍্যূকে ঠেকাতে, পারবে না আসমান, জমিন, চন্দ্র সূর্য বানাতে।গণমাধ‍্যমে প্রচারিত  "টক শো"তে বিশেষজ্ঞরা এমনভাবে কথাবার্তা বলেন যে তারাই সবজান্তা।  এই  করোনা মহামারী মানুষ তৈরি করেছে, এই মহামারী দূর করার  ক্ষমতা যেন মানুষের হাতেই। মনে হয় যেন সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই। একবার সৃষ্টিকর্তার নাম মুখে নিলে কি  আমরা অযৌক্তিক মানুষে পরিণত হয়ে যাবো।

আমরা সবাই তো এই নীতিকথাগুলো জানি - "যে  আপনাকে বড় বলে বড় সে নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।"  ছোট ছোট অবুঝ ছেলেমেয়েরা যদি এই কথাগুলো বলে, "আমি বড়, তুই ছোট" তাহলে হয়তো তাদের মুখে মানায়। কারণ তাদের সংশোধন করা যাবে। কিন্তু বয়স্করা যদি একথা বলে তাদেরকে কে সংশোধন করবে?  কারণ অহংকার করতে করতে তাদের অন্তর পাথরের মত শক্ত হয়ে গেছে যা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ নরম করতে পারবে না। তাও যদি তারা সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে। 

এখন এই অহংকারী অন্তরের বয়স্ক মানুষের কাছ থেকে পরবর্তী প্রজন্ম অহংকারী কাগজের বিদ‍্যা ছাড়া আর কি শিখবে? 

 আপনারা তো টাইটানিক জাহাজের কথা শুনেছেন  যেটা 1912 সালে  অসংখ‍্য যাত্রী নিয়ে  ডুবে গেল। এর জন‍্য নির্মাতার অহংকারই দায় ী। কারণ জাহাজটি নির্মানের সময় নির্মাতা বলেছিল, "জাহাজটি এমনভাবেই তৈরি করছি, শত আঘাতে ও জাহাজ পানিতে ডুববে না।" অথচ যেদিনই জাহাজটি  প্রথম চালু করলো সেই দিনই ডুবে গেল।  পরে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা জাহাজ ডুবে যাওয়ার যান্ত্রিক ক্রটি  বের করলো। অথচ জাহাজটি নির্মানের সময় নির্মাতা যদি সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে নির্মান করতো  তাহলে হয়তো জাহাজটিতে কোন যান্ত্রিক ক্রটি থাকতো না। হযতো সঠিক যন্ত্র ব‍্যবহারের ধারণাটি বিধাতা জাহাজ নির্মাতার মাথায় দিয়ে দিতো।

যাই হউক করোনা মহামারী নিয়ে " টক শো"এর বিশেষজ্ঞদের কথা বলছিলাম।করোনা মহামারী কবে দূর হবে এই কথা জিজ্ঞেস করা হলে বিশেষজ্ঞরা তো এভাবে উত্তর দিতে পারে, " আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, সব ডাক্তারের উপর বড় ডাক্তার আল্লাহ, সেই জানে কবে মহামারী যাবে।" আল্লাহর  নামটা মুখে নিলে তো রহমত  পাওয়ার কথা।


যাই হউক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় মনটা খুশি হয়ে গেল।একমাত্র তার কথায় আল্লাহর  নাম খুঁজে পাওয়া গেছে। তিনি বলেছেন," আপনারা স্বাস্থ‍্যবিধি মেনে চলুন আর আল্লাহর  কাছে প্রার্থনা করুন।"


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ