সবাই হলে ভাই ভাই, করোনা বলবে চলে যাই
সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন ভাই ভাই হয়ে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু কেউ কি ভাই ভাই হয়ে থাকছে? যতদিন আমরা একধর্মের মানুষ অন্যধর্মের মানুষকে ভাই ভাই মনে করতে পারবো না ততদিন আমরা অজ্ঞতার যুগেই বসবাস করবো।অথচ আমরা বিশ্বায়ন প্রযুক্তির যুগে বাস করে নিজেদেরকে অত্যাধুনিক মানুষ করি।
বাইরে আমরা যতই অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত থাকি না কেন আমাদের ভিতরটা কিন্তু অন্ধকার তথ্য দিয়েই পূর্ণ। ভিতরটা অন্ধকার তথ্য দিয়ে পূর্ণ বলেই তো আমরা এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে সহ্য করতে পারি না। আর হিংসা বিদ্বেষ মনোভাব রেখেই আমরা নিজেকে জ্ঞানী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, জ্ঞানী নেতা অন্যদেরকে মূর্খ ভাবতে পছন্দ করি।
উচুঁ পদে চাকরী করলেই আমরা নিজেদেরকে অধিক জ্ঞানী আর নিচু পদে চাকরী করলে তাকে আমরা কম জ্ঞানী ভাবতে পছন্দ করি। এগুলো আমাদের মনগড়া অন্ধকার ভাবনা। যার ভিতরে মানবতা আছে সেই জ্ঞানী এবং তার অন্তর আলো দিয়ে পূর্ণ। আবার মুখে মধু অন্তরে বিষ রেখে ভিন্নধর্মের মানুষের সাথে লোকদেখানো মহব্বতের চলাফেরা করি। বিধাতা অন্তরের বিচার করেন।লোকদেখানো বাহ্যিক আচরণের মানুষ দিয়েই কিন্তু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি। কারণ তারা তাদের অন্ধকার অন্তর দিয়ে কখনো কোন মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে পারবে না।
আমাদের খারাপ লাগে যখন আল্লাহ্ ভক্ত বা বিধাতা ভক্ত মানুষের মধ্যে ধর্মবিদ্বেষের মনোভাব দেখা যায়। সারা বিশ্বে ধর্মপ্রাণ মানুষের অভাব নেই। তারা তো অনেক কিছু জানে। এটাও তো তাদের জানার কথা, "সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে নাই।" ভিন্নধর্মের প্রতিটি মানুষ যদি তাদের আলোকিত অন্তর দিয়ে ইবাদত করতো, নামাজ পড়তো, আল্লাহ্ বা স্রষ্টা তাদের নামাজ, ইবাদত কবুল করতো। আলোকিত অন্তরের মানুষের ইবাদত কবুল হলে এ পৃথিবীতে করোনা মহামারী অবশ্যই উধাও হয়ে যেতো। কারণ আলোকিত অন্তরের মানুষ ভিন্ন ধর্মের মানুষকে আপন ভাইয়ের মত ভালোবাসে। কারণ যেখানে পবিত্র ভালোবাসা থাকে সেখানে স্বয়ং বিধাতা থাকে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন