তরুণ তরুণীরা ভুল চিন্তধারা বহন করছে

  প্রেমজনিত কষ্ট পেয়ে বেশির ভাগ তরুণ তরুণীরা  জীবন থেকে এ শিক্ষা লাভ করে, "আল্লাহকে ভালবাসা আর নিজেকে ভালবাসার মধ‍্যেই  আসল শান্তি লুকিয়ে আছে, আর কাউকে ভালবাসতে নেই।"  ওদের ভাষায় নিজেকে ভালবাসা  মানে অন‍্যের  স্বার্থ বিবেচনা না করে শুধুমাত্র নিজের  স্বার্থ বিচার করা।  কারণ অন‍্যের ভালমন্দ বা অন‍্যের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে গেলে নিজের স্বার্থ ত‍্যাগ করতে হয়।আর অন‍্যের প্রতি হিংসার যন্ত্রণায় তারা  নিজের স্বার্থ ত‍্যাগ করতে পারে না।   সুতরাং নিজেকে ভালবাসা মানে নিজের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা ও  নিজের স্বার্থ ত‍্যাগ করা।

 এছাড়া তরুণ তরুণীরা মনে করে, নামাজ, রোজা  বা ইবাদত করলেই আল্লাহকে ভালবাসা হয়ে যায়। মানুষকে  ভাল না বাসলেও চলবে। অথচ মানুষকে ভালবাসলেই  মানে মানুষকে সেবা করলেই যে আল্লাহকে ভালবাসা হয় এটা অনেকেই মানে না বা জানে না। 

ভালবাসা তে কঠিন কিছু না। ভালবাসতে বেশি কিছু করতে হবে না। ঘরের মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝে চলার নামই ভালবাসা। মা বাবা ভাই বোন যদি এক গ্লাস পানি চায়, সেই এক গ্লাস পানি দেওয়ার নামই ভালবাসা। ইবাদত করার পাশাপাশি মানুষকে সেবা করলেই আল্লাহকে ভালবাসা হয়।

কিন্তু তরুণ তরুণীদের বেলায় কি দেখা যায়   তারা তাদের হিংসা প্রতিহিংসার ভালবাসায় অতীষ্ঠ হয়ে মানবিকতা হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ মানব সেবাই যে বড় ধর্ম সেটা তারা মানতে চায় না। এখন কেন তারা মানতে চায় না সেটাই বড় প্রশ্ন।হয়তো পরিবারের  বাবা মা বা কাছের কোন গুরুজনের কথা তাদের মনের মত হয় না। যাই হউক গুরুজনের  কথা পছন্দ হউক বা না হউক, এ সত‍্য মানতে হবে যে  মানব সেবাই বড় ধর্ম। মানুষের সেবা করলেই খোদার রহমত ও জ্ঞান লাভ করা যায়। জ্ঞান বিধাতার দান। বই খাতা পড়ে  বিধাতার জ্ঞান অর্জন করা যায় না। বিধাতা যাকে পছন্দ করেন তাকেই জ্ঞান দান করেন। যার যার কর্মফল সে সে পাবে। বিধাতার জ্ঞান লাভের জন‍্য নিজেকে  ভাল মানুষ হতে হবে।

এই যে তরুণী মুনিয়া ভালোবাসার ফাঁদে পড়ে মারা গেলো,  এটাকে কি বলা যায়। নিশ্চয়ই লোভে পাপ, পাপে মৃত‍্যু বলা যায়। কারণ  মুনিয়া দুনিয়ার লোভে তার প্রেমিককে ভালোবেসেছে। সত‍্যিকারের ভালোবাসায় কোন দুনিয়ার স্বার্থ জড়িত থাকে না।  মিথ‍্যে, লোভজনিত ভলোবাসার পরিণাম  ভয়ংকরই  হয়ে থাকে। দুনিয়াটা ভরে গেছে মিথ‍্যা ভালবাসা দিয়ে। তাই তো দুনিয়াতে ঘটছে এত অঘটন।


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ