সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসাই বিশ্ব থেকে করোনা দূর করতে পারে

  মহামারী কখন আসে যখন সৃষ্টিকর্তা আমাদের কাজের উপর অসন্তুষ্ট হন। তাহলে যার যার জায়গা থেকে চিন্তা করে বের করতে পারি  সৃষ্টিকর্তা আমাদের কোন কাজের উপর অসন্তুষ্ট হয়েছে।  সৃষ্টিকর্তা তাঁর মহান বাণীতে বলেছেন, " তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করিও না।" অথচ ধর্ম নিয়েই বাড়াবাড়ি চলছে এই পৃথিবীতে। এক ধর্মের মানুষের উপর অন‍্য ধর্মের মানুষের অমানবিক নির্যাতন করতে দেখা যায়। এছাড়া আমরা জানি, মহান ধর্মীয় গ্রন্থে সৃষ্টিকর্তার  বাণী লেখা  থাকে। অথচ কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার মহান বাণী সংশোধনের কথা বলেন।  কত  বড় স্পর্ধা  হলে আর সৃষ্টিকর্তার প্রতি অবিশ্বাসী হলে  কেউ কেউ এ ধরণের পাপী কথা বলতে পারে।

সাধারণত দেখা যায় যখন  আমরা মহাবিপদে পড়ি অর্থাৎ  বিপদ দূর করার কোন উপায় যখন  থাকে না  তখন আমরা বলি, এখন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন উপায় নেই।  আমাদের নিরুপায় কে করে? সৃষ্টিকর্তাই  আমাদের কর্মদোষের জন‍্য আমাদেরকে  নিরুপায় করে। নিরুপায়  হওয়ার জন‍্য আমরা তখন নিজেদের চারিত্রিক আচরণগত ক্রটি না দেখে  বাহ‍্যিক ক্রটিকেই বিবেচনা করি।

অথচ আমরা এটা বুঝতে পারি না সৃষ্টিকর্তাকে বেশি বেশি ডাকার জন‍্যই বিপদ এসেছে। আর সৃষ্টিকর্তাকে ডাকার মতই ডেকেই বিপদ সরানো যাবে। বিশ্বব‍্যাপী নেতৃবৃন্দরা যদি পরধর্মের প্রতি  শ্রদ্ধা রেখে যদি এই ঘোষণা দেয়,  "যার যার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে  করোনা মহামারী দূর করার জন‍্য  বেশি বেশি প্রার্থনা করুন।"  এই ভ্রাতৃত্ববোধের ঘোষণায় আমার তো মনে হয়  সৃষ্টিকর্তা খুশি হয়ে বিশ্ব থেকে করোনা দূর করে দিবেন। 

আর  বিধাতার উপর কাজেকর্মে আমরা যদি ভরসা না রাখি তবে যতই করোনা মহামারীর কার্যকরী টিকা আবিষ্কার  হবে ততই নতুন ধরণের মহামারী আমাদের হামলা করবে।আর ভরসা তারাই করতে পারে যারা জাতিভেদ নির্বিশেষে মানুষকে ভালোবাসতে পারে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ