যখন নিজেকে নিজের ডাক্তার হতে হয়
ডাক্তারের গুরুত্ব অস্বীকারের উপায় নেই। অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এখানে বলা হচ্ছে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে নিজের সমস্যা নিজের বুঝার চেষ্টা করতে হবে। তারপর বুঝাটা যদি অসাধ্য মনে হয় তখন ডাক্তারের কাছে যেতে পারি।
এই যে আজ করোনা রোগটি মহামারী আকার ধারণ করার কারণে ডাক্তাররা রোগীদেরকে ঘরে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছে। অনেক রোগী ভালো ও হচ্ছে ঘরোয়া চিকিৎসায়। কিন্তু ইচ্ছে করলে ডাক্তাররা অন্য রোগের বেলায়ও সাধারণ পরামর্শ দিতে পারে রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য। সেটি তারা দিবে না। কারণ তাদের তো উপার্জনেরও দরকার আছে।
এই অবস্থায় আমাদের রোগীদেরই রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে চিকিৎসার হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য।উদাহরণের তো শেষ নেই। বাচ্চার অসুখের একটি উদাহরণ দেই। বাচ্চারা তো আর নিজের ডাক্তার নিজে হতে পারবে না। বাচ্চার ডাক্তার হতে হবে মায়ের নিজেকে। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় অনেক শিশু এমনই চরম কোষ্ঠকাঠিণ্যতায় যে তাদের অপারেশন করতে হয়। দিনের পর দিন হাসপাতালে থেকে কত কষ্টকর সময় পার করে শিশুসহ মা বাবারা।
অথচ মা যদি একটু সচতেন হতো যে,শিশুর মল শক্ত হবার পিছনে কোন খাবারটি দায়ী ছিল। অনেক মায়েরা বুঝতেই পারে না মল শক্ত হবার পিছনে যে খাবার দায়ী থাকতে পারে। শিশুটির মল শক্ত হবার আগে শিশুটিকে কি খাবার খাওয়ানো হয়েছে সেটা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন মনে করে না মায়েরা। কারণ মায়ের অজ্ঞতা। তারপর আর কি। শিশুটিকে নিয়ে মা দীর্ঘদিন কষ্ট ভোগ করার পর অর্থাৎ বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করে কোন সমাধান পান না। ঔষুধে কাজ হচ্ছে না। সার্জন ডাক্তাররা এমনও ভয় দেখায় সাত দিনের মধ্যে শিশুর মলনালী অপারেশন না করা হলে চরম ক্ষতি হয়ে যাবে।
কিন্তু সার্জারীর ভয়ে ভীত মা আরো বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যায়। শেষ পর্যন্ত হ্নদয়বান অভিজ্ঞ এক ডাক্তারের সুচিন্তিত ও কার্যকরী পরামর্শ পাওয়া যায়। পরামর্শটি হচ্ছে " শিশুটিকে মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া খাওয়ান, দেখবেন শিশুটির মল নরম হয়ে গেছে।" তারপর ডাক্তারের সাহায্যে মা বুঝতে পারল যে পানি মেশানো ছাড়া এক কাপ কমলার রস খাওয়ার কারণে শিশুটির মল শক্ত হয়ে গেছে। কি খাবার খেলে মল শক্ত হয় ও কি খাবার খেলে মল নরম হয় এটা বুঝতে মায়ের এক বছর সময় লেগে গেছে। আর মায়ের অজ্ঞতার কারণে মা সহ শিশুটি এক বছর কষ্ট করেছে। কোন ডাক্তারই নির্দিষ্ট করে কোন সবজির কথা বলতো না। যাই হোক অজ্ঞ মা যদি সার্জনের কথা অনুযায়ী সার্জন করাতো তাহলে কি অবস্থা হতো? যেখানে শিশুটি মিষ্টি কুমড়া ও মিষ্টি আলু খেয়ে সুস্থ হয়ে গেছে। এর মানে শিশুদের খাবার সম্পর্কে প্রতিটি মায়ের সাধারণ জ্ঞান থাকা উচিত। এই স্বাস্থ্য সচেতনতার সাধারণ জ্ঞান গণমাধ্যমে প্রচার করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন