তরুণ তরুণীদের রোগের পিছনে কারণ কি
আমরা চাই সুস্থ ছেলেমেয়ে যারা দেশের ভবিষ্যৎ। অধিক খাবারপ্রিয় তরুণ/ তরুণী, কিশোর / কিশোরী যারা এখনও মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয় নি তারা মজার কোন খাবার সামনে দেখলে এই কথাটি প্রায়ই বলে থাকে, " আগে খেয়ে নেই, মরবো যখন, খেয়ে মরি।"
এই সংলাপটি অনেকে হেসে উড়িয়ে দেয়।শরীর যতদিন সুস্থ থাকে ততদিন ছেলেমেয়েরা এই সংলাপটি বলতে থাকে। তারপর আর কি? এভাবে খেতে খেতে একদিন অসুস্থ হয়ে যায়। অসুস্থ হওয়ার পর আর মুখ দিয়ে এ সংলাপ বের হয় না। এ ধরণের সংলাপের মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে। ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য হতে পারে এমন,"আপনি বাঁচলে বাপের নাম।" এ ধরণের সংলাপের মানুষ মনের জোরে চলতে পারে না, এরা চলে দেহের জোরে। কারণ মনের জোরে চলতে গেলে অনেক কঠিন মানবিক আইন কানুন মেনে চলতে হয়। নিজে কম খেয়ে অন্য মানুষকে খাওয়াতে হয়। দেখা গেল, ঘরে মজার খাবার আছে, এমন সময় মেহমান এসে পড়লো। এখন মেহমানকে খেতে দিলে নিজে মজার খাবারটা খেতে পারবে না, এই ভয়ে মেহমানকে না খেয়ে বিদায় দিলো। অথচ সব ধর্মেই বলা আছে, মেহমান খোদার আশির্বাদ। কিভাবে খেতে হবে, কতটুকু খেতে হবে এবং মেহমানদেরকে সমাদর করার মত শিক্ষামূলক মানবিক অনুষ্ঠান ছেলেমেয়েদের জন্য প্রচার করা উচিত।
আবার উঠতি বয়সের তরুণ/ তরুণীদের আর একটি সমস্যা লক্ষ্য করা যায় সেটা হচ্ছে এই বয়সে তাদের মধ্যে শ্লীম থাকার তীব্র চেষ্টা দেখা যায়। তীব্র চেষ্টা করতে যেয়ে তারা খাবার গ্রহণে এতই অনিয়মভাবে চলতে থাকে যে অভিভাবকরা অসুস্থ হয়ে যাবার হাজারও ভয় দেখালে তাদের মনে কোন ভয় কাজ করে না। শেষ পর্যন্ত অনিয়মভাবে চলতে চলতে তাজা সুস্থ তরুণ তরুণীরা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে রোগের কষ্ট নিয়ে জীবনযাপন করতে থাকে। অভিভাবকের চোখের সামনে এভাবে উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীরা মারাত্মক রোগীতে পরিণত হচ্ছে। সবাই জানে বয়সন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের মেজাজ সামলানো বড় কঠিন। এর জন্য গণমাধ্যমের এগিয়ে আসা উচিত। এই যে ধূমপান মানুষ করে না , এটা কিভাবে কমেছে, গণমাধ্যমে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব প্রচারের ফলে।
আমাদেরকে তরুণ তরুণীদের স্বাস্থ্যের কথা ভাবতে হবে। ওরা অবুঝ। তাই ওরা অনিয়মভাবে চলে জীবনকে অসুস্থতার দিকে নিয়ে যায়। তাই কেউ যাতে এলোমেলো চলাফেরা করে অসুস্থ না হয়ে যায় তাই এখনই গণমাধ্যমের কার্যকরী ভূমিকা নেয়া উচিত।
নাছরীন আক্তার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন