এই মহামারীতে চ্যানেলে চ্যানলে ধর্মীয় গান প্রচার হউক
করোনা মহামারীর ভয়াবহ সময় যাচ্ছে।এই মহামারীতে যাদের স্বজন মারা গেছে বা যাচ্ছে তারাই বুঝতে পারছে করোনার ভয়াবহতা। মহামারীর এই সংকটময় মুহূর্তে সবারই উচিত সৃষ্টিকর্তাকে মনে প্রাণে স্মরণ করা।আমাদের বোঝা উচিত সৃষ্টিকর্তা যখন সৃষ্টির উপর অধিক রাগান্বিত হন তখনই পৃথিবীতে মহামারীর আবির্ভাব হয়।
আমরা আসলে মুখে মুখে সৃষ্টিকর্তাকে স্বীকার করি, কাজে কর্মে স্বীকার করি না। যেমন, কোন কাজে যখন আমরা সফলতা অর্জন করি তখন কিন্তু কাজের পিছনে একবারও বিধাতার অবদানকে স্বীকার করি না। আমরা তখন নিজেরই গুণগান করতে থাকি। এভাবে প্রতিটি কাজেকর্মে নিজেরই ক্ষমতার বাহার করতে থাকি -এটার নামই শিরক। একবারও বলি না বিধাতার ইচ্ছায় এই কাজটি হয়েছে।
একমাত্র বিপদে পড়লেই বিধাতাকে স্মরণ করি আবার বিপদ চলে গেলেই বিধাতাকে ভুলে যাই। এই ধরণের মুনাফেকী কাজ তো চলছেই। বিধাতা মানুষকে মহামারী দেয় কেন? শুধুমাত্র বিধাতাকে স্মরণ করার জন্য, তাঁর অস্তিত্ব বুঝানোর জন্য, মানুষকে বিধাতার প্রতি বিশ্বাসী বানানোর জন্য, প্রতিটি কাজকর্ম বিধাতার উপর ভরসা রেখে করার জন্য।
এ পৃথিবীতে চিরদিন থাকার জন্য কেউ আসে নি। সত্যটা জানতে হবে, মানতে হবে। মানুষ সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহকে চিনা।আল্লাহকে চিনার জন্য মানুষকে মানবিক গুণ অর্জন করতে হবে। অথচ কাজকর্মে আমরা কয়জনে মানবতা দেখাই।মানবতার বড় অভাব বলেই মহামারীর আবির্ভাব। আমরা যদি স্বভাব না বদলাই অর্থাৎ যদি মানবতার চরিত্র অর্জন করতে না পারি শুধুমাত্র করোনা প্রতিরোধক টিকা পারবে না এ পৃথিবী থেকে মহামারী সরাতে।
আমরা যদি মানবিক গুণ অর্জন করতে সক্ষম হই তারপরই হয়তো বিধাতা আমাদের প্রতি দয়াশীল হবেন পৃথিবীকে করোনামুক্ত করার জন্য। আর যদি বিধাতা দয়াশীল না হউন, যতোই টিকা আবিষ্কার হউক না কেন, করোনা মহামারীর থাবা থেকে বাঁচা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
সুতরাং বিধাতার দয়া পাবার জন্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে নয়, সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া উচিত। সরকারি উদ্যোগটা হচ্ছে - চ্যানেলে চ্যানেলে ধর্মীয় গান প্রচার করা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন