কাজের বুয়ারা কি সর্বাত্মক লকডাউনের বাইরে?

  করোনা প্রতিরোধে যাতে কোন ফাঁকফোকর না থাকে এজন‍্যই তো সরকার  সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে। ঘর থেকে যাতে  জনগণ  সরকারি নির্দেশিত জরুরী কাজ ছাড়া   বের হতে  না  পারে সেজন‍্যই সর্বাত্মক লকডাউন। জনগণ যাতে অকারণে বের হতে না পারে সেজন‍্য তো রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাসায় বাসায় কাজের বুয়াদের কাজ কি জরুরী কাজের অন্তর্ভুক্ত?  আমি মনে করি অবশ‍্যই অন্তর্ভুক্ত নয়। কাজের বুয়ার মতো ছোট ছোট বিষয় সরকারের মাথায় না আসারই কথা।   কিন্তুু এই মহামারীতে কোন বিষয় কিন্তু ছোট নয়। প্রতিটি মানুষ নিরাপদে থাকলে আমরা নিরাপদে থাকতে পারবো।

 এখানে কাজের বুয়া বলতে ছুটা কাজের বুয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ  যেসব কাজের বুয়ারা  সারাদিন বিভিন্ন বাসায় কাজ করে। এই বুয়াদের মাধ‍্যমে করোনা জীবাণু ছড়াবে না - এই রকম গ‍্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবে? একজন বুয়া 4/5 টি বাসায় কাজ করে। এই মহামারীর ভিতরে একজন মানুষের  4/5 টি বাসায়  যাতায়াত করাটা কি সর্বাত্মক লকডাউনের নীতি লংঘন করা নয়?  অবশ‍্যই লংঘন করা। এখন দেখছি কাজের বুয়াদের ঘরে থাকার জন‍্য অলিতে গলিতে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো দরকার।

গত বছর দেখা গেছে ফ্লাট মালিকেরা নিজ উদ‍্যোগেই  লকডাউনের সময় কাজের বুয়াদের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।  এবার কি হলো? এবার তো করোনা সংক্রমণ বেশি। তাও কাজের বুয়ার কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয় নি।  তবে সরকারকেই এ কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারীর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সরকার ঘোষণা  দিবে এভাবে  - লকডাউনে কর্মবিরতির ফলে কোন সরকারী বেসরকারী কর্মচারীদের বেতন কাটা  হয় না। সুতরাং আপনারা যারা বাসায়  ছুটা  কাজের বুয়া  রেখেছেন , লকডাউনে ওদের কর্মবিরতির জন‍্য বেতন কাটবেন না। সুতরাং যতদিন সর্বাত্মক লকডাউন চলবে   ততদিন ছুটা বুয়ার কাজ বন্ধ রাখুন  বেতন দিয়ে।

 নাছরীন আক্তার


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ