কিশোর কিশোরীদের মনের রহস্য উদঘাটনের জন্য কাউন্সেলিং ডাক্তার জরুরী
আমরা কিডনীর সমস্যা হলে কিডনী ডাক্তারের কাছে,হার্টের সমস্যা হলে হার্টের ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী মনে করি। আমরা জানি বিশেষ সমস্যার জন্য বিশেষ ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। কিন্তু জানি না কিশোর কিশোরীরা ঝামেলা করলে কোন ডাক্তারের কাছে যেতে হয়? জানি না, ঝামেলাও এক ধরণের বিরাট বয়ঃসন্ধিকালীন মানসিক সমস্যা, যে সমস্যার জরুরী চিকিৎসা না করলে তা এক সময়ে ভয়ংকর মানসিক রোগে পরিণত হতে পারে? গণমাধ্যমে যে ধরণের অনুষ্ঠান দেখতে পাই যেমন, তরুণ তরুণীদের দ্বারা আয়োজিত নাচ, গান, বিতর্ক প্রতিযোগীতা ইত্যাদি। আর এ সমস্ত অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাণচঞ্চল তরুণীরাই অংশগ্রহণ করে। এই সমস্ত তরুণ তরুণীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কর্মঠ ও দর্শকদের জন্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
আমি বলতে চাচ্ছি ঐ সমস্ত কিশোর কিশোরীদের কথা যারা যে কোন বিষয় নিয়ে ঘরে বাবা মায়ের সাথে ঝামেলা করে এবং বাবা মা সেই ঝামেলা দূর করতে ব্যর্থ হয়। উঠতি বয়সের মানে কিশোর কিশোরীদের বয়সন্ধিকালীন সময়টা জীবনের একটা কঠিন সময়। এই সময়টা যারা সুন্দরভাবে পার করতে পারে তাদের জীবন সুন্দরভাবে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।আর এই সময়টাতে যখন কিশোর কিশোরীরা ঝামেলা করে তখন দেখা যায় বাবা মা ঝামেলার সঠিক কারণ বের করতে পারে না। দেখা গেলো সেই কিশোর কিশোরী মানসিকভাবে এমনই অসুস্থ হয়ে গেল যে সে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারল না।এর চেয়ে কষ্টের বিষয় আর কী হতে পারে?
অথচ ঝামেলা করা কিশোর কিশোরী ছিল এক সময়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ও নাচে, গানে, খেলাধূলায়ও ছিল সমান পারদর্শী। পরিবার, সমাজ,রাষ্ট্র সেই ঝামেলার সমাধান করতে পারে নি বুঝতে পারে নি বলে সেই মেধাবী কিশোর কিশোরীর জীবন আর স্বাভাবিক রইলো না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন তারা ঝামেলা করে? তারা কি পরিস্থিতির স্বীকার? তাদের মনের কথা কেন বাবা মা বুঝতে পারে না? আর বাবা মা বুঝতে না পারলে কেন কিশোর কিশোরীরা তা শেয়ার করে না? বিশেষজ্ঞরা তো জানে এই সময় অনেক কিশোর কিশোরীরি মনের জটিলতায় ভুগেন। জেনেশুনে কেন তাঁরা জটিল মনের রহস্য উদঘাটনের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন