যে তার কাছের মাানুষকে ভালোবাসতে পারে না সে কাউকে ভালোবাসতে পারে নাা

  ভালোবাসার রূপ কেমন?ভালোবাসার রূপ হচ্ছে পবিত্রতা, জ্ঞান, নি:স্বার্থপরতা,ত‍্যাগ তিতিক্ষা। আপনার মধ‍্যে যদি এই মানবিক গুনগুলো থাকে  তাহলে আপনি  ভাববেন আপনার মধ‍্যে মানুষকে অন্তর থেকে ভালোবাসার  গুণ আপনার আছে।

 আপনি মানুষকে ভালোবাসতে পারেন কিনা সেটাই হচ্ছে আপনার যোগ‍্যতা, মানুষ আপনাকে ভালোবাসলো কিনা সেটা আপনার  যোগ‍্যতা নয়। সুতরাং যে  মানুষটি তার কাছের মানুষকে ভালোবাসতে পারলো সেই জিতে গেল, আর যে পারল না সেই হেরে গেল। কারণ নি:স্বার্থ ভালোবাসাই মানুষকে মানুষ করে তুলে। আর কাছের মাানুষ হচ্ছে প্রথমে বাবা মা, তারপর স্ত্রী সন্তান, ভাই বোন আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীগণ।

 সব পরীক্ষায় পাশ করলেও ভালোবাসার  পরীক্ষায় কেউ সহজে পাশ করতে পারে না। যেমন আপনি  যদি হন অবিবাহিত এবং কাউকে ভালোবাসেন, তখন তার ভালোবাসা যাচাই করার জন‍্য  আপনি যদি বলেনআপনি অনেক  কঠিন রোগে আক্রান্ত বা আপনার অনেক জটিল সমস‍্যা আছে, দেখবেন সে যদি সত‍্যি আপনাকে ভালোবেসে  থাকে তাহলে সে আপনার পাশে থাকবে। আর যদি তার ভালোবাসা  মিথ‍্যা হয় তাহলে সে তখন শুধু আপনার দোষ খুজে বেড়াবে আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন‍্য।   যখনই দূরে সরে যায় আপনি তখন কষ্ট পান। বৃথাই কষ্ট পাওয়া। যার মধ‍্যে ভালোবাসাই নেই  মানে ভালোবাসার যোগ‍্যতা নেই তার জন‍্য কষ্ট পাওয়াটা বোকামী ছাড়া আর কিছু নয়।  যে আপনাকে ভালোবাসতে পারে নি সে জীবনেও কাউকে ভালোবাসতে পারবে না।

 ভালোবাসা সস্তা গুণ নয়। এটা হচ্ছে সর্বোচ্চ মানবিক গুণ যে গুণে গুণান্বিত হলে স্বয়ং আল্লাহ্  তাকে পছন্দ করে ও শান্তি দান করে। 

আজকাল তরুণ তরুণীদের মধ‍্যে দেখা যায়,  প্রেমে ব্রেক হয়ে তারা কষ্টের বনে চলে যান।  আসলে প্রেম হারানোর জিনিষ নয়। আল্লাহ্  মানুষকে  প্রেমের কষ্ট দিয়েছেন জ্ঞান অর্জনের জন‍্য, জ্ঞান হারিয়ে ফেলার জন‍্য নয়।

নি:স্বার্থ ভালোবাসার  মধ‍্যে  নিশ্চয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন‍্য পুরস্কার আছে। আর পুরস্কারটা  হচ্ছে নিজেকে চিনতে পারা বা আল্লাহকে চিনতে পারা।


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ