থার্ড ক্লাশ দিয়ে স‍্য‍্যারদের কত আনন্দ

   দুই/ একজন  শিক্ষার্থীকে থার্ড ক্লাশ দিয়ে স‍্যারদের মনে কত আনন্দ। আনন্দ তো তারা পাবেই,  তাদের জীবনেও যে   অশান্তির শেষ নেই।  কি করে স‍্যাররা অন‍্য শিক্ষার্থীকে এই বলে সাবধান করে যে  আমরা থার্ড ক্লাশ ও দিতে পারি অযোগ‍্য শিক্ষার্থীদের।  প্রশ্ন হচ্ছে অযোগ‍্য শিক্ষার্থী কারা, যারা লাখ লাখ  ভর্তি প্রার্থীদেরকে  হারিয়ে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  সর্বোচ্চ আসনে টিকেছে, তারা?  

অযোগ‍্য হচ্ছে শিক্ষকেরা, যারা ঐ মেধাবী শিক্ষার্থী কেনো থার্ড ক্লাশ পেলো তার খোঁজ খবর না রাখা। খোঁজ  নিয়ে  দেখা গেলো ঐ শিক্ষার্থী একশত নম্বরের পরীক্ষাই দেয় নি।এর জন‍্য কাকে  দোষ দেওয়া যায়। নিশ্চয়ই শিক্ষাব‍্যবস্থাকে, শিক্ষার্থীকে নয়। শিক্ষার্থীর বয়স কতো থাকে20/ 21 বছর। এই তরুণ বয়সে তারা  যে কোনো বিষয়ে আবেগতাড়িত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিষকে অবহেলা করতে পারে।  সরকারি খাতায়  প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার একটি বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। এমন একটি ভাবসাব সবার মধ‍্যে দেখা যায়  বয়স আঠারো হয়ে গেছে এখন আর তাকে কিছু বলা যাবে না। দুনিয়ার সবকিছু সে বুঝে  গিয়েছে। যেনো খারাপ কিছু করলেও তাকে কিছু বলা যাবে না।   আসলে প্রাপ্তবয়স্কের বয়সটাকে কোনো নির্দিষ্ট বয়সের মানদন্ডে হিসাব করা উচিত নয়। আমার মতে, যারা অসাধারণ জ্ঞানী তাদেরকেই প্রাপ্তবয়স্ক ভাবা উচিত যাদের কাছ থেকে মানুষ কিছুটা শিখতে পারে। উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রীপ্রাপ্ত হলেই মানুষ জ্ঞানী হয় না।

যাই হউক এই মেধাবী শিক্ষার্থীর থার্ড ক্লাশ কেনো আদরে সাদরে গ্রহণ করলো শিক্ষকেরা?  শিক্ষকদের এটি গ্রহণ করা উচিত হয় নি, কারণ এটা কোনো  ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণির রেজাল্ট নয়, এটা হচ্ছে  জীবনের শেষ ও চূড়ান্ত পরীক্ষার রেজাল্ট, যে রেজাল্ট দিয়ে  চাকরী হয়।

 এসব নিয়ে লেখার উদ্দেশ‍্য হচ্ছে যারা অনার্স ও মাস্টার্সে রেজাল্ট খারাপ করে, কলেজ/ ভার্সিটি র্কতৃপক্ষ  যেনো তাদের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ রেখে ভালো রেজাল্ট করার  ব‍্যাপারে উৎসাহিত করে। শুধু নোটিশ দিলেই হবে না যে আবার প্রোমোশন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ