এ্যাসাইনম্যান্টে লেখাপড়া শূণ্য, পরীক্ষায় লেখাপড়া পূর্ণ
পরীক্ষার কোন বিকল্গ নেই। পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি এ্যাসাইনম্যান্ট থাকতে পারে। কিন্তু পরীক্ষার পরিবর্তে এ্যাসাইনম্যান্ট, সেটা তো লেখাপড়া গোল্লায় যাওয়ার মতো। এ্যাসাইনম্যান্টের বেলায় দেখা যায়, যে বিষয়ের যতটুকু সিলেবাস দেয়া হয়,সেই সিলেবাস শিক্ষার্থীরা পড়ার প্রয়োজন মনে করে না এ্যাসাইনম্যান্টের আশায়। কারণ এ্যাসাইনম্যান্ট করার জন্য সিলেবাস শেষ করার দরকার হয় না , এ্যাসাইনম্যান্ট করার জন্য দীর্ঘ সাত দিন সময় দেয়া হয়। একটি বিষয়ের 2/1 টি প্রশ্ন দিয়েই এ্যাসাইনম্যান্ট শেষ হয়। 2/1 টি প্রশ্নের উত্তর লিখে শিক্ষার্থীরা কি শিখে? এটা তো নকল প্রশ্নের মতো হলো, পরীক্ষায় যে কয়টা প্রশ্ন আসে সেই কয়টা প্রশ্ন পড়ার নাম কি লেখাপড়া?
শিক্ষামন্ত্রীকে প্রায়ই একটি কথা বলতে শুনা যায়, শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে চাপমুক্ত ও আনন্দময়। এ্যাসাইনম্যান্ট ব্যবস্থাটাকে কোন চাপমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা বলা যায় না, এটাকে বলা যায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া গোল্লায় যাওয়ার ব্যবস্থা।
শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষাকে চাপমুক্ত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু তাও পরীক্ষা হোক। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই।
পরীক্ষায় যতটুকু সিলেবাস দেয়া হয় শিক্ষার্থীরা তা শেষ করার চেষ্টা করে। অন্তত শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী যদি চাপমুক্ত পরীক্ষা চান, তাহলে পরীক্ষার সিলেবাস কমিয়ে দিলেই শিক্ষার্থীরা চাপমুক্ত পরীক্ষা দিতে পারবে।
আর যদি শিক্ষামন্ত্রী এ্যাসাইনম্যান্ট দিতেই চান পরীক্ষার মতোই দিক। পরীক্ষার মতোই এ্যাসাইনম্যান্টের রুটিন দেওয়া হোক। এ্যাসাইনম্যান্ট দেওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে এ্যাসাইনম্যান্ট জমা দিতে হবে - এরকম নিয়ম করলে শিক্ষার্থীরা এ্যাসাইনম্যান্টের জন্য লেখাপড়া করবে।
আর পরীক্ষার মতো করে এ্যাসাইনম্যান্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর ঘরেই মোবাইল সুবিধা থাকতে হবে। তাহলেই করোনা মহামারীর মধ্যে এ্যাসাইনম্যান্ট শিক্ষা কার্যক্রম সার্থক হবে।
নাছরীন আক্তার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন