একমাত্র চিন্তাই মানুষকে হাসায়, চিন্তাই মানুষকে কাঁদায়
উঁচু, নিচু, তরুণ, বৃদ্ধ সব শ্রেণির, সব বয়সের মানুষের জীবনে দু ঃখ কষ্ট আছে, কেউ কষ্ট জয় করতে পারে, কেউ পারে না। কেন এরকম হয়? একমাত্র চিন্তাশক্তির পার্থক্যের কারণে হয়। কারো চিন্তা উন্নত, কারোটা উন্নত নয়।প্রশ্ন হচ্ছে কেন উন্নত নয়?
কারণ চিন্তার মধ্যে রয়েছে দূর্বলতা। যার চিন্তার মধ্যে দূর্বলতা থাকে তার সামনে যখন কোন অশান্তির ঘটনা হাজির হয় তখন সে কি করে? সেই মূহুর্তে অশান্তি দূর করার সকল চেষ্টা করেও যখন অশান্তি দূর করতে ব্যর্থ হয় তখন সে হতাশা করতে থাকে আর সাথের মানুষকে দোষারোপ করে ঘরের পরিবেশ নষ্ট করতে থাকে।অথচ এই হতাশাগ্রস্ত লোকটি কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে। বিপদে যে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হয় সেটা সে তখন ভুলে যায়। এই হচ্ছে আমাদের ইবাদত। বিপদে আল্লাহকে ভুলে গেলে যে আমাদের চিন্তা দূর্বল হয়ে যায়, আর চিন্তা দূর্বল হলে যে আমাদের দেহও দূর্বল হয়ে যায় সেদিকে আমাদের কোন খেয়াল নেই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে চিন্তা দূর্বল কেন? চিন্তাকে শক্তিশালী করার একমাত্র উপায় হচ্ছে জ্ঞান অর্জন। এই জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব আমাদের ঘরের ও প্রতিবেশি মানুষকে ভালবেসে।ঘরের মানুষের সুবিধা অসুবিধা বুঝে চলাফেরা করার নাম হচ্ছে ঘরের মানুষকে ভালবাসা।আর ঘরের মানুষকে যারা ভালোবাসে আল্লাহ্ তাদেরকে ভালোবাসে। এভাবেই মানুষের প্রতি যাদের ভালোবাসা থাকে তাদেরকেই আল্লাহ্ জ্ঞান দান করেন। জ্ঞান হচ্ছে আল্লাহর রহমত।
তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম, চিন্তাশক্তি উন্নত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা।মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার একমাত্র চাবিকাঠি হচ্ছে উন্নত চিন্তাশক্তি। সুন্দর মন ও সুস্থ শরীরের পরিচয় হচ্ছে উন্নত চিন্তাশক্তি।
উদাহরণের কোন শেষ নেই। উদাহরণসরূপ একটি ঘটনার কথা বলা যায়। সুন্দর, শ্লীম ফিগারের একটি মেয়েকে হঠাৎ মোটা হতে দেখা যায় এবং তাকে মোটা হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, ' আমি অশান্তিতে ভুগছি, অশান্তিকে আমি জয় করতে পারছি না। অশান্তির ফলে আমি বেশি বেশি খাই। আর বেশি খেয়েই আমি মোটা হচ্ছি।অথচ এর আগে যখন অশান্তি ছিল না, তখন আমি মেপে মেপে খেতাম।' এর মানে বেশি খাওয়াটা অনুন্নত চিন্তার পরিচয়।
নাছরীন আক্তার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন