উন্নত ব‍‍্যক্তিত্ত্বের পিছনে রয়েছে নিঃশ্বাসের রহস‍্য

  বছরের "শ্রেষ্ঠ  ব‍্যক্তিত্ব'এর উপাধিতে যখন কোন বিখ‍্যাত ব‍্যক্তির নাম ঘোষণা করা হয় বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত‍্যাদি ক্ষেত্রে অবদান রাখার  জন‍্য তখন হয়তো সাধারণ মানুষের মন ছোট হয়ে যায় এই ভেবে যে  ' শ্রেষ্ঠ ব‍্যক্তিত্ব'  পাওয়ার উপাধি তারা  কখনো অর্জন করতে পারবে না। বিখ‍্যাত ব‍্যক্তি এই উপাধি অর্জন করে নির্দিষ্ট বছরের জ‍ন‍্য, সারা জীবনের জ‍ন‍্য নয় । কিন্তু বিখ‍্যাত অবিখ‍্যাত যে কেউ এই উপাধি সারা জীবনের জন‍্য অর্জন করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে সারা জীবনের জন‍্য এই উপাধি কিভাবে আমরা অর্জন করতে পারবো।  

অনেকে হয়তো বলতে পারে এই উপাধি অর্জন করার কি দরকার? কিন্তু দরকার আছে। মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে  হলে দরকার আছে।অনেকে মনে করে গাড়ি, বাড়ি, খ‍্যাতি অর্জন করার নাম- ই হচ্ছে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা।কিন্তু এগুলো অর্জন করার নাম নয় মানুষের মতো বেঁচে থাকা। মানবিক গুন অর্জন করে বেঁচে থাকার নাম হচ্ছে মানুষের মতো বেঁচে থাকা। আর জ্ঞান অর্জন ছাড়া মানবিক গুণ অর্জন করা সম্ভব নয়। 

আর বই খাতা পড়ে কখনো জ্ঞান অর্জন করা যায় না। মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসলেই জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।  আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মাধ‍্যমেই সম্ভব   ক্রোধ, হিংসা, নিন্দা, লোভ,ঘৃণার মত কুপ্রবৃত্তিগুলো  দমন করা। কুপ্রবৃত্তিগুলো দমন করার নাম হচ্ছে ভালবাসার সাধনা।   মিথ‍্যা ভালোবাসায় কুপ্রবৃত্তিগুলো জাগ্রত থাকে, যা সত‍্যি ভালোবাসায় থাকে না। 

 সত‍্যি ভালোবাসার নিঃশ্বাসটা হয় মানুষের জীবনের পথপ্রদর্শক।নিঃশ্বাসটা হয় জাগ্রত।এই জাগ্রত নিঃশ্বাস মানুষের দেহ ও মনকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে। এই জাগ্রত নিঃশ্বাসটাই হয় দেহ ও মনের চালিকা শক্তি। যে দেহ মনের শক্তি হয় জাগ্রত নিঃশ্বাস সেই দেহ মনকে কোন দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করতে পারে না। 

এখান থেকে সহজেই বুঝা যায় যাদের জাগ্রত নিঃশ্বাস আছে তাদেরই উন্নত ব‍্যক্তিত্ব আছে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ