রোগীর কাছে কারা ভালো ডাক্তার
সারা বিশ্বে চিকিৎসা একটি সম্মানিত ও গুরুত্বপূর্ণ পেশা। আমরা যখন অসুস্থ হই তখন হাসপাতাল ও ডাক্তারকে আমাদের অতি আপনজন মনে হয়। তবে ডাক্তারের কাছ থেকে রোগীরা কেমন কথাবার্তা আশা করেন সেটা বোঝানোর জন্যই আমার এই লেখা।
রোগীরা যখন ডাক্তারের কাছে যায় চিকিৎসা নিতে তখন অনেক ডাক্তারের হাবভাবে রোগীদের কষ্টের শেষ থাকে না। বিশেষত কোন কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যখন রোগীদের সাথে একদমই কথা বলে না। এসব সম্মানিত ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য সদ্য পাশ করা একজন তরুণ ডাক্তার তার পাশের চেয়ারে বসান। ঐ তরুণ ডাক্তারের সাথে ওষুধের নাম লিখানোর জন্য কথা বলেন, ওষুধের নাম বলতে যতটুকু দরকার হয়।
রোগীরা তো এমনিতেই রোগ নিয়ে টেনশন করেন এবং ডাক্তারের কাছে যান একটু সান্তনার কথা শুনতে। এ অবস্থায় ডাক্তার যদি কথাই না বলে তখন রোগীর অবস্থা কি দাঁড়ায়।রোগীরা তখন প্রেসক্রিপশনের উপর ভরসা করতে পারে না ও অন্য ডাক্তার দেখানোর চিন্তাভাবনা করতে থাকে। যখন কোন ভাল ডাক্তারের সন্ধান পায়, তখন রোগীরা বলতে থাকে, " যাক এতোদিনে একজন ভালো ডাক্তারের সন্ধান পেয়েছি যাকে দেখলে শরীরের অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যায়। রোগ সম্পর্কে রোগী কোন কিছু জানতে চাইলে সেটার স্পষ্ট উত্তর দেন ভাল ডাক্তার এবং এই ডাক্তারের দেয়া ওষুধ রোগ দূর করতে ভাল কাজ করে। " আর ভাল ডাক্তারের চেম্বারে রোগীর ভীড় লেগেই থাকে। তবে নতুন ভাল ডাক্তারের চেম্বারেও তেমন রোগী থাকে না।
আর আবার অনেক সময় দেখা যায় নতুন ডাক্তারের উপর শুরুতে রোগীরা ভরসা করতে পারে না। নতুন ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশনের ওষুধ খেতে চায় না ডাক্তারের প্রতি এই অভিযোগ করে, " এই ডাক্তারের বয়স কম, সে রোগীর সাথে কথা বলতে জানে না এবং প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম লেখার সময় ডাক্তার অনেক ভাবে। সুতরাং এ ডাক্তারের ওষুধ খাওয়া যাবে না।" তারপর অনেক দ্বিধা দ্বন্ধের পর ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে যখন সুস্থ হয় তখন রোগীরা নতুন ডাক্তারের উপর ভরসা করতে শুরু করে। তাই রোগীর আস্থা অর্জনের জন্য নতুন ডাক্তারের উচিত রোগীদের সাথে কথা বলার প্রশিক্ষণ নেয়া ।
আর এক ধরনের ডাক্তার আছে যারা শুরুতেই রোগীদের সাথে রোগ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন। এই ধরণের ডাক্তারের কাছ থেকে রোগীরা 10 হাত দূরে থাকেন। সুতরাং রোগীদেরকে চিকিৎসা করার আগে ডাক্তারদের উচিত ডাক্তারী বিদ্যার পাশাপাশি রোগীদের সাথে কথা বলার প্রশিক্ষণ নেয়া।
নাছরীন আক্তার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন