করোনা থেকে বাচঁতে নিজের দোষ সংশোধন করুন

 এ কথাটি কেউ অস্বীকার করতে পারবে,যতদিন বাংলাদেশে করোনায় মৃত‍্যুসংখ‍্যা কম ছিল ততদিন সবার মুখে মুখে একটি কথাই ছিল, "বাংলাদেশে খোদার রহমত আছে, এই যে মানুষ ভীড় করে বাস গাড়ীতে  বা যে কোন জায়গায় চলছে কিন্তু করোনায় মৃত‍্যুসংখ‍্যা কমছে।"  কিন্তু হঠাৎ করে মৃত‍্যুসংখ‍্যা বাড়ছে।এর কারণ কি?  কেউ বলছে, করোনা নতুন আকার ধারণ করছে। কেউ বলছে, জনগণ স্বাস্থ‍্যবিধি মানে নি।

কিন্তু আমি বলছি করোনা নিয়ে এ ধারণাগুলো সঠিক।  আবার সরকার করোনা প্রতিরোধে য়ে স্বাস্থ‍্যবিধি ও 18 দফা কর্মসূচি  পালন করতে বলছে সেগুলো সঠিক ও কার্যকরী। কিন্তু আমাদের  বুঝতে হবে করোনা ও সাধারণ রোগের মধ‍্যে অনেক পার্থক‍্য আছে। সাধারণ রোগ হচ্ছে সেই রোগ যেটা ব‍্যক্তি,পরিবার ও একজন ডাক্তারের   মধ‍্যে সীমাবদ্ধ থাকে।এটা হচ্ছে ব‍্যক্তিগত হিসাবের রোগ।

আর করোনা হচ্ছে মহামারী রোগ। যেমন তেমন মহামারী না, বিশ্বব‍্যাপী মহামারী রোগ।  এর মানে  করোনা আক্রান্ত পুরো বিশ্বের প্রতি আমাদের সৃষ্টিকর্তা অসন্তোষ্ট। ইতিহাস থেকে এতদিন আমরা জেনে আসছি এলাকাভিত্তিক, দেশভিত্তিক মহামারির কথা।  কিন্তু বিশ্বব‍্যাপী মহামারীর কথা শুনি নি।  পৃথিবীকে করোনামুক্ত করার জন‍্য প্রভুভক্ত বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উচিত  দেশে দেশে  মানুষের প্রতি মানুষের অত‍্যাচার, নির্যাতন, হয়রানিমূলক কাজ বন্ধ করা। সব নেতৃবৃন্দের উচিত নিজেকে নিজে প্রশ্ন করা, আসলে সে কোন দেশের মানুষের প্রতি অত‍্যাচারমূলক কর্মসূচী চাপিয়ে দিচ্ছে কিনা।

পবিত্র গ্রন্থে লিখা আছে,"যখনই কোন এলাকায়, দেশে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় তখনই সেই এলাকায়, দেশে সৃষ্টিকর্তা মহামারী পাঠান।সুতরাং মহামারী থেকে বাঁচতে আমাদের সবারই উচিত ব‍্যক্তিগতভাবে নিজের দোষ সংশোধন করে মানবিক গুণ অর্জন করা।বিন্দু বিন্দু জল থেকে যেমন মহাসাগর সৃষ্টি হয়, তেমনি ছোট ছোট এলাকা  থেকে দেশ,  দেশ থেকে মহাদেশ আর মহাদেশ থেকে বিশ্ব সৃষ্টি। তেমনি  প্রতিটি দেশের একজন একজন মানুষ থেকেই  বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ হিসাব করা হয়।    নিষ্পাপ শিশু ছাড়া  কোটি কোটি মানুষের প্রতিটি মানুষ যদি নিজের দোষ সংশোধন করে চলার চেষ্টা  করে তাহলে করোনা নতুন রূপে মহামারী আকার ধারণ করবে না।এটা সাধারণ  রোগে পরিণত হয়ে যাবে।

নাছরীন আক্তার

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ