রোগের পিছনে শারীরিক কারণ ছাড়া অন্য কি কারণ থাকতে পারে
কোন ঘটনা ঘটার পিছনে আমরা শুধু ঐ কারণকেই দায়ী করতে পছন্দ করি যেটা আমরা চোখে দেখতে পাই।যেমন আমরা মনের দোষ ত্রুটিকে দোষ হিসাবে গণ্য করতে চাই না কারণ এটাকে আমরা কেউ দেখতে পাই না।
আমরা যখন অসুস্থ হই তখন আমাদের চিন্তাভাবনার ক্রটি বা অসুস্থতা যে দায়ী থাকতে পারে সেটা আমরা মানতে রাজী নই।আমরা তখন রোগের পিছনে শারীরিক কারণ বের করা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ি। অথচ যে কোন রোগের প্রধান আসামী কিন্তু দূষিত মন আর দ্বিতীয় আসামী হচ্ছে দেহ। কিন্তু আমরা কি করি, রোগের দ্বিতীয় কারণ নিয়েই ব্যস্ত থাকি।
আমার কথা হচ্ছে, রোগের দ্বিতীয় কারণ দেহটা নিয়ে তো আমাদের ব্যস্ত থাকতেই হবে।কারণ রোগ হয়ে যাবার পর মনের আর কোন ভূমিকা থাকে না।তখন রোগের শারীরিক কারণ বের করে তো রোগের চিকিৎসা করতেই হবে।আর এই শারীরিক চিকিৎসা করার জন্য রয়েছে ডাক্তার।
কিন্তু মনের ত্রুটি বের করার দায়িত্ব রোগীর নিজের। শুধু তাই নয়, মনের ক্রটি বের করে তা সমাধান করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের রোগীদের।এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা তো মনের দোষ স্বীকার করতে চাই না। কারণ মনের দোষ স্বীকার করতে হলে অনেক ভালো মানুষ হতে হয়। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করতে হয়। একারণে সস্তা ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলতেই সবার পছন্দ।গাছের গোড়ায় পানি না ঢেলে গাছের আগায় পানি ঢালার মতই এলোমেলো জীবনযাপনকেই আমরা গুছানো জীবনযাপন বলতে পছন্দ করি বাহ্যিক স্বাচ্ছ্যন্দকে আশ্রয় করে।
কিন্তু আমরা মনের দোষ স্বীকার করি বা না করি আমাদের শরীর মন সুস্থ রাখার একটি চিরন্তন নিয়ম আছে। সেই নিয়মটা হচ্ছে সুন্দর চিন্তাভাবনা করার একটা মানবিক মন থাকতে হবে। যে মনে হিংসা, নিন্দা, ঘৃণার মত কোন খারাপ অনুভূতি থাকতে পারবে না। যেমন দেখা গেল, একদিন ছেলের বউ ইচ্ছেমতো তার শ্বাশুরির নামে বদনাম করছে অন্যজনের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে।হঠাৎ দেখা গেল বউয়ের শিশু বাচ্চা অসুস্থ হয়ে গেলো।এজন্য যার বাচ্চা অসুস্থ হলো তার চিন্তা করা উচিত, কোন্ মনের দোষে তার বাচ্চা অসুস্থ হলো। চিকিৎসার জন্য বাচ্চাটিকে তো ডাক্তারের কাছে নিতেই হবে। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে রোগের সাথে শুধু শরীরের দূষণ নয়, মনের দূষনের ও সম্পর্ক রয়েছে। রোগ আমাদের জীবনের বাইরে নয়। আর জীবনের হিসাবটা কিন্তু শরীর ও মনের শুদ্ধতা দিয়েই মিলাতে হয়।
নাছরীন আক্তার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন