শান্তিপূর্ণ পরিবার তৈরিতে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা

  বেশির ভাগ  পুরুষ বা মহিলারা যখন অফিসে যায় তখন খুব ফিটফাটভাবেই বের হয় এবং অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে  এমন সুন্দরভাবে কথা বলে যেন তাদের চেয়ে ভদ্র ও শান্ত মানুষ এই পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি হতে পারে না। অথচ এরাই যখন ঘরে প্রবেশ করে তখনই প্রকাশ পায় তাদের আসল চেহারা।অথচ অফিসে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ কৃত্রিম ভদ্রবেশি  চেহারাটা ধরে রাখে।তখন তাদের ধৈর্যশক্তিও অনেক থাকে। বসেরা গায়ে আগুন লাগার মতো কথা বললেও সেই আগুন তারা গায়ে লাগায় না। কারণ তাদের চাকরির টাকা দরকার।টাকার প্রয়োজন তাদের রাগকে দমিয়ে রাখে। 


অথচ অফিসে থাকাকালীন ভদ্রবেশি ও ধৈর্যশীল মানুষগুলো ঘরে ঢুকে   স্ত্রী সন্তানের একটু আওয়াজ করা কথা  বলা সহ‍্য করতে পারে না। আর সন্তানদের মাঝে তর্ক দেখলে শান্ত মাথায় তর্ক থামানোর পরিবর্তে হয়ে যায় মারমুখী। ধৈর্য‍্যের কোন চিহ্ন তার মধ‍্যে দেখা যায় না।  চিরন্তন সত‍্য কথার মতো  পরিবার চালানোর অবশ‍্যই একটি চিরন্তন নিয়ম আছে।    দেখা যায় অফিসের ভদ্রবেশি মানুষগুলো  পরিবার বা সংসার চালানোর চিরন্তন নিয়ম ভঙ্গ করে।তারা সন্তানের সকল দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না।কোনরকম খাওয়া পড়ার দায়িত্ব পালন করলেও বস্ত্র, চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করে না।এই ভদ্রবেশি মানুষের কাছে যখন  তার সন্তানেরা টাকা চায়  তখন " টাকা নেই 'বলে  দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। আর তখনই সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়।


এই ভদ্রবেশী দায়িত্বহীন মানুষকে  দায়িত্বশীল তৈরি করার জন‍্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান র্কতৃপক্ষের এগিয়ে আসা উচিত।  ঘরের সন্তানের সাথে  যারা এমন দায়িত্বহীন আচরণ করে তাদের চাকরির কি মূল‍্য আছে? এ ধরণের আচরণে কোন সন্তান কি সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠবে?   

যাই হোক প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠান তৈরির জন‍্য  প্রতিষ্ঠানের সাথে অফিসের কর্মীদের   পরিবারের   মাসিকভাবে  একটি  সাক্ষাৎমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা উচিত। এই সাক্ষাৎমূলক অনুষ্ঠানে বেশি কিছু   করতে হবে না। শুধুমাত্র   অফিসের মালিক  একবার অফিসের কর্মীর  সামনে  তার পরিবারের সদস‍্যদেরকে জিজ্ঞাসা  করবে,  'আপনাদের গৃহকর্তা কি সঠিকভাবে আপনাদের প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করে?'  অফিসের মালিকের এই জিজ্ঞাসার মাধ‍্যমেই  পরিবারের সদস‍্যদের দায়িত্ব পালনে গৃহকর্তা সচেষ্ট হবে।আর এভাবেই সুন্দর পরিবার তৈরি হবে প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ‍্যমে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ