আর কত গাছের আগায় পানি ঢালা হবে

  গাছের আগায় পানি ঢালার ফলেই আজ আমরা দেখছি চঞ্চল শিশুটির স্থবির অবস্থা, তরুণ শক্তিশালী মানুষটির জরাজীর্ণ  বার্ধ‍্যক‍্য অবস্থা।  কেন এমন হচ্ছে?কারণ চিন্তাশক্তির দূর্বলতা।  চিন্তাশক্তি আর শক্তিশালী থাকতে  পারছে না শারীরিক বাহ‍্যিক শক্তির উপর নির্ভর করে। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক জ্ঞান অজর্ন করে কি চিন্তাশক্তির ক্ষমতা বাড়ানো যায়? এই সমস্ত জ্ঞান খাদ‍্য, বস্ত্র, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, বাসস্থানের চাহিদা মেটানোর জ্ঞান দেয়। এই জ্ঞান আমাদের বাহ‍্যিক জ্ঞান।  শরীরে যতদিন শক্তি আছে ততদিন  এই জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতা থাকে। আর এই বাহ‍্যিক জ্ঞানের জোরেই মানুষ তার দৈনন্দিন কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।   এই বাহ‍্যিক জ্ঞান অর্জনকারী মানুষের কাছ থেকে একটি শিশু কতটুকু ভালো আচরণ আশা করতে পারে।

একটি শিশু ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে ক্লাসে প্রতিযোগীতা।প্রতিযোগীতা থাকা ভালো। কিন্তু শুধু ফলাফলের প্রতিযোগীতা থাকবে  কেন, সঙ্গে থাকবে ভাল আচরণের প্রতিযোগীতাও।   আচার আচরণে থাকবে 50% নম্বর, পরীক্ষার বিষয়ে থাকবে 50% নম্বর।  এই ধরণের প্রতিযোগীতায় লোভ, হিংসা, নিন্দার মতো খারাপ প্রবৃত্তিগুলো  শিশুদের  চিন্তায় জেগে উঠবে না। জেগে উঠবে তখন শুধু মানবিকতা। 

এই ধরণের ভালো আচরণের প্রতিযোগীতা শুধু শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানে নয়, প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে চালু করা উচিত।যেমন কর্মক্ষেত্রে কাজের দক্ষতার পাশপাশি তার ভালো আচরণের ভিত্তিতে চাকরীর পদোন্নতি  দেওয়া দরকার। 

মানুষের চিন্তাশক্তি বেঁচে থাকে ভালো আচরণের উপর।  এভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি সরকারী উদ‍্যোগে ভাল আচরনের প্রতিযোগিতা করা হয় তাহলে  মানুষ এ পৃথিবীতে শান্তিমতো বাচঁতে ও মরতে পারবে।

শ্বাস ছাড়া কি মানুষ বাঁচতে পারে? তেমনি   সুস্থ চিন্তাশক্তি ছাড়া  মানুষের পক্ষে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।

নাছরীন আক্তার

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ