ছোট ছোট দোষ কিন্তু বড় দোষ
খারাপ আচরণ করে কেউ পার পাবে না। আমরা অনেক সময় অনে ক ত্রুটি ধরি না ছোট ব্যাপার মনে করে। কিন্তু আমরা ছাড় দিলেও আমাদের অন্তরে যে সৃষ্টিকর্তা বসে আছে সে কিন্তু ছাড় দিবে না। কারণ ঐ সৃষ্টিকর্তার কাজ হচ্ছে আমাদের অন্তরের দোষ গুণ হিসাব করা। যেে অন্তর পবিত্র থাকবে সে অন্তরে সৃষ্টিকর্তা ধরা দিবে।
কিন্তু আমরা কয়জনে অন্তর পবিত্র রাখার চিন্তা করি। যেখানে যেরকম আচরণ করে আমাদের মন তৃপ্তি পায় সেখানে সেরকম আচরণ করি।দূর্বল মানুষ দেখলে করি তার সাথে অবহেলামূলক আচরণ আর সবল মানুষ দেখলে করি তার সাথে তোষামোদি আচরণ। এই ধরণের আচরণে আমাদের অন্তর কখনো পবিত্র হবে না। আর আল্লাহ্ কখনো অপবিত্র অন্তরের ডাক শুনে না।
অন্তর পবিত্র রাখার রাখার জন্য নিজের জিহবা, জবান সংযত রাখতে হয়। আর সংযত রাখতে পারলে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা তার সঙ্গী হয়ে যায়। যাই হউক সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য কেউ চায় না বলেই এসব সংযত রাখার প্রয়োজন কেউ মনে করে না।
যেমন অতিথিপরায়ণতার ছোট একটি উদাহরণ দেই। মনে করি কোনো মেহমান কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলো এবং সেই বাড়ীর খাওয়ার টেবিলে বিভিন্ন কয়েক রকমের তরকারী সাজানো আছে। আর প্রতিটি তরকারির পেয়ালা ঢাকনা দিয়ে ঢাকা। একজন মেহমান যখন টেবিলে খেতে বসলো তখন মেহমান দেখলো একটি তরকারির পেয়ালা ছাড়া প্রতিটি তরকারির পেয়ালা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা। আতিথেয়তার এই আচরণে কি প্রকাশ পেল, নিশ্চয়ই মেহমানের প্রতি অবহেলা ও নিজের কৃপণতা। এ আচরণে কার ক্ষতি হলো, নিশ্চয়ই অতিথি আপ্যায়নকারী মানুষটির। এ ক্ষতি অন্তরকে অন্ধকারে রাখার ক্ষতি, যে অন্তরকে আল্লাহ্ আলোকিত করেন মানুষের ভালো আচরণের মাধ্যমে। এভাবে নিত্যদিনের চলাফেরায় মানুষ ছোট ছোট দোষ করেই যাচ্ছে যে দোষকে কেউ দোষ মনে করে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন