মানুষের প্রতিটি কথা, চিন্তা হচ্ছে বিজ্ঞান
শুধু কথা, চিন্তা নয় , মানুষের জীবনটাই একটি বিজ্ঞান। সূর্য পূর্বদিকে উঠে, মানুষ মরণশীল - এই কথাগুলো যেমন চিরন্তন সত্য কথা, তেমনি মানুষের শান্তিপূর্ণ বেঁচে থাকার জন্য চিরন্তন সত্য কথা রয়েছে যেগুলো মানা না মানা মানুষের ব্যাপার। যারা মানে, তারা ভালো জ্ঞানী মানুষ হিসেবে পরিচিত আর যারা মানে না, তারা সাধারণ মানুষ হিসেবে পরিচিত।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কারো সাথে খারাপ আচরণ করে কারো জীবন সুন্দর, সুখী, শান্তিপৃর্ণ হতে পারে না। আসল কথা আমার সাথে কেউ যদি খারাপ আচরণ করে আমি অন্তত ভালো আচরণ করার চেষ্টা করবো। আমার খেয়াল রাখতে হবে যাতে আমার আচরণে কেউ কষ্ট না পায় বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষকে তার নিজের কাছে ভালো থাকতে হবে। তবে যেখানে প্রতিবাদ করার দরকার সেখানে প্রতিবাদ করতে হবে। তবে সবার প্রতিবাদ জ্ঞান থাকে না। যাদের ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝার ক্ষমতা আছে তাদের মধ্যেই সঠিক প্রতিবাদের সঠিক জ্ঞান থাকে।
কিন্তু ভালো মন্দ বুঝার মধ্যে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। একজনে যেটাকে ভালো বলছে অন্যজনে সেটাকে খারাপ বলছে।কেন এতো ভিন্নতা। কারণ ভালোবাসার অভাব এবং আমরা বিশ্বাস করি না জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে নি:স্বার্থভাবে ভালোবাসার মধ্যেই রয়েছে আল্লাহর নৈকট্য। আমরা বিশ্বাস করি, যতোই আমরা পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচরণ করি না কেন, আমরা ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে পাব। ভালবাসা মানেই ভালো আচরণ।আর ভালো আচরণ মানেই রাগ, হিংসা, নিন্দা, ঘৃণা, লোভকে দমিয়ে রাখা।
মানুষকে যদি আমরা নি:স্বার্থভাবে ভালোবাসতে পারি তবে আল্লাহ আমাদের জ্ঞান দান করবেন। জ্ঞান আল্লাহর দান। জ্ঞানের অপর নাম শান্তি। আর বিজ্ঞানীরা যতকিছু আবিষ্কার করেছেন সেগুলো মানুষের বাহ্যিক জীবনযাত্রাকে উন্নত করার জ্ঞান।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন