আবার সেনাশাসনে মিয়ানমার
গণপ্রতিরোধের ডাক সু চির।নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন ও ভোটার তালিকা যাচাই- বাছাই শেষে নির্বাচন দেওয়ার আশ্বাস সেনাপ্রধানের।
আপনারা এসব মেনে নেবেন না। রাস্তায় নামুন।সামরিক অভ্যুথানে দেশে আবারও স্বৈরতন্ত্র শুরু হবে।সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার আগে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির শেষ কথা। তিনি আগেই আচঁ করতে পেরেছিলেন, একটা কিছু ঘটতে চলেছে। আর তাই জনগণের উদ্দেশ্যে একটা চিঠি লিখে রেখেছিলেন। গতকাল সোমবার ভোরে সু চি আটক হওয়ার পর তারঁ এ চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন তাঁরই সহযোদ্ধারা।
অভিমত
ঘটনার মূল ধরে টান দিতে হবে
যখন যেটা ঘটে গণমাধ্যম সেদিকটা নিয়েই ঝুঁকে পড়ে। বড় সমস্যার দিকে আমরা নজর দিই না। কলাবাগানের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ুয়া মেয়ে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে দরিদ্র কিশোরী মেয়েটির মৃত্যু- কোনো ঘটনার নাম উল্লেখ না করেই বলছি, ঘটনার মূলে কেউ যেতে চায় না। মূল ধরে টান দিতে হবে। পরিবারের ভিতরে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে।
সামরিক সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
মাঝখানে 2015 সালের নির্বাচন পরবর্তী পাঁচ বছর বাদ দিলে 1962 সালে সেনা অভ্যুথানের পর থেকে মিয়ানমার সরাসরি সামরিক শাসনের অধীনে থেকেছে। আর প্রতিবেশীহলও বাংলাদেশের সঙ্গে একধরনের আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের মধ্যেই থেকেছে দেশটি। ফলে সোমবারের সেনা অভ্যুথানের কারণে এই সম্পর্কে বিশেষ কোনো পরিবর্তন আসবে,এমনটা ভাবার অবকাশ নেই। তবে মিয়ানমারের সামরিক নতুন কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা, সে সম্পর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরও দীর্ঘায়িত হত পারে
মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদল
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুথানের পর থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে রোহিঙ্গা সংকট। এ সময়ে অং সান সু চির বেসামরিক সরকার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সদিচ্ছাকে মূল্যায়ণ করে নি।
দুই দেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সতর্ক থাকবে।
কর্মকর্তা মনে করছেন, এবার উল্টোটাও ঘটতে পারে। 1980ও 1990এর দশকে সেনাশাসনের সময়ই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়েছিল।ওই সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই ফেরত গেছে। কাজেই এবারও সামরিক শাসনের সময় হুট করে প্রত্যাবাসন হলেও হতে পারে।
জীবানুতে ভরা পথের খাবার।
পথের খাবার তৈরি থেকে খাওয়া পর্যন্ত পুরো বিষয়টি অস্বাস্থ্যকর। প্রতটি পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়াসহ নানা জীবানু প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন